নয়া দিল্লি: সোমবার দিনভর কাজের ব্যস্ততা ছিল রাজধানীতে। আর সন্ধ্যে নামতে বিরাট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাল কেল্লার পার্শ্ববর্তী এলাকা। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। জখম বহু। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারেই বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। 

Continues below advertisement

এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, 'গাড়ির নম্বর শুরুতে HR-26 ছিল। শেষে 7674 ছিল। চলন্ত গাড়ি, যেটাতে প্রথমে বিস্ফোরণ হয়েছিল। একটা গাড়ি বিস্ফোরণের পর, সব CNG গাড়ি ছিল, CNG বিস্ফোরণ হতে থাকে।' তাহলে কি চলন্ত গাড়িতে বিস্ফোরক ছিল? নাশকতার উদ্দেশে বিস্ফোরক নিয়ে আসা হচ্ছিল?                                                                   

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রক্তাক্ত অটোচালক বলেন, 'আমি অটো নিয়ে ওই গাড়ি থেকে দু'ফুট দূরেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি সিগনালের সামনে গাড়িতে বিরাট বিস্ফোরণ। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে গেল সব। মুহূর্তে চোখেমুখে অন্ধকার দেখলাম।' 

Continues below advertisement

স্থানীয় দোকানদার বলেন, 'আমার এখানে দোকান আছে। আমি চেয়ারে বসেছিলাম। এতজোরে আওয়াজ হয়, আমি এমন জোরে আওয়াজ আগে কখনও শুনিনি। এত জোরে (বিস্ফোরণ) আমি ৩বার পড়ে গেছি। ওঠার পর ফের পড়ে যাই। আমি দোকান ফলে রেখে পালিয়ে যাই। এমন মনে হচ্ছিল যে মরেই যাব। যেন মৃত্যু সামনে থেকে দেখলাম'।                          

এদিকে, দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে জোরাল বিস্ফোরণের নেপথ্য়ে কি পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদ? প্রশ্নটা উঠছে কারণ, সোমবার এই বিস্ফোরণের কয়েকঘণ্টা আগে দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। আর এই বিস্ফোরকের হদিশ মেলে শ্রীনগরে জইশের সমর্থনে পোস্টার দেওযার অভিযোগে ধৃত এক চিকিৎসককে জেরা করে।                    

ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে NIA-NSG। তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। রয়েছে স্পেশাল সেল-ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বিস্ফোরণস্থলে ও হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ