নয়া দিল্লি: দিল্লিতে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। সন্ধ্যে ৭টার কিছু আগে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী। পুড়ে খাক হয়ে গেল একের পর এক গাড়ি। লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটে বিস্ফোরণটি ঘটে। চলন্ত গাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, 'যখন সিগন্যাল লাল ছিল সেই সময় সব ঠিক ছিল। এরপর যখন সিগনাল গ্রিন হয়, সেই সময় বিরাট বিস্ফোরণ। সে বিস্ফোরণের এতটাই জোর ছিল যে মনে হল সব ভেঙেচুরে গেল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, রাস্তার উল্টোদিকে জৈন মন্দির ও অন্য আরেকটি মন্দিরে জানলার কাচ ভেঙে যায়। দরজা, জানলা একদম ভেঙে চুরে যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, 'আমার এখানে দোকান আছে। আমি চেয়ারে বসেছিলাম। এতজোরে আওয়াজ হয়, আমি এমন জোরে আওয়াজ আগে কখনও শুনিনি। এত জোরে (বিস্ফোরণ) আমি ৩বার পড়ে গেছি। ওঠার পর ফের পড়ে যাই। আমি দোকান ফলে রেখে পালিয়ে যাই। এমন মনে হচ্ছিল যে মরেই যাব। যেন মৃত্যুকে সামনে থকে দেখলাম।'
রাজধানীর বুকে এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টার সাঁটার অভিযোগে ধৃত চিকিৎসককে জেরা করে এই বিস্ফোরকের ভাণ্ডারের হদিশ মেলে। দিল্লির বিস্ফোরণের নেপথ্যেও কি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হাত থাকতে পারে? এই প্রশ্নই উঠছে।
এই ঘটনায় ৩ চিকিৎসক-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, দিল্লির এত কাছে এত বিস্ফোরক মজুতের কারণ কী? তাহলে কি রাজধানীতে নাশকতার ছক? সন্ধে হতে না হতেই লালকেল্লার একেবারে কাছে ঘটল বিস্ফোরণ! কিছু দিন আগে শ্রীনগরে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটার অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ।
রাজধানীতে এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর এই প্রশ্নই উঠছে একের পর এক।
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে জোরাল বিস্ফোরণের নেপথ্য়ে কি পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদ? প্রশ্নটা উঠছে কারণ--- সোমবার এই বিস্ফোরণের কয়েকঘণ্টা আগে দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। আর এই বিস্ফোরকের হদিশ মেলে শ্রীনগরে জইশের সমর্থনে পোস্টার দেওযার অভিযোগে ধৃত এক চিকিৎসককে জেরা করে।