দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড উমর-উন-নবির পুলওয়ামার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তাবাহিনী। পুলওয়ামার কোইলা গ্রামেই বাড়ি তার। সোমবার যে i২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় তার চালকের আসনে ছিল উমর। ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে মৃত্য়ু হয়েছে চিকিৎসক উমর-উন-নবি-রও। বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Continues below advertisement

সারা দেশে সন্ত্রাসবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে সারা দেশেই অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দা দল। তদন্তে স্পষ্ট, ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক করেছিল উমররা।  একে একে সেই সব তথ্য সামনে এসেছে। প্রথম প্রথম উমরের পরিবার স্বীকারই করেনি এই ধরনের কাজে ছেলের যুক্ত থাকার বিষয়টি। 

পরে অবশ্য তদন্তকারীদের উমরের মা জানান, তিনি আগে থেকেই জানতেন যে তার ছেলে চরমপন্থী চিন্তাভাবনার সঙ্গে জড়িত হয়ে গেছে। অনেক দিন ধরে তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। বিস্ফোরণের কিছু সময় আগে উমর পরিবারকে ফোন না করার জন্য বলেছিলেন। যদিও, পরিবারের পক্ষ থেকে উমরের এই সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর আগে পুলিশকে জানানো হয়নি।

Continues below advertisement

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন হল, কাশ্মীরের বাসিন্দা ও আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ। ফরিদাবাদের আল ফালহা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে তল্লাশি চালিয়ে, তদন্তকারীদের হাতে এসেছে সেই চিকিৎসক মুজাম্মিলের ডায়েরি। যেখানে সাঙ্কেতিক ভাষায় বিভিন্ন কিছু লেখা রয়েছে। আছে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর তারিখের উল্লেখ, ২৫ জনের নাম। কী লেখা সেই সাঙ্কেতিক ভাষায়? নাশকতার পরিকল্পনা? উদ্ধারের চেষ্টায় তদন্তকারী দল।

সূত্রের দাবি, জেরার সময় তদন্তকারীদের সে জানিয়েছে যে, জইশ-ই-মহম্মদের সাথে তার যোগাযোগের প্রাথমিক পর্যায়ে, সে 'আবু উকাসা' ছদ্মনাম ব্যবহার করে একজন হ্যান্ডলারের সাথে যোগাযোগ করেছিল। সেই হ্যান্ডলার তুরস্কের একটি ভার্চুয়াল নম্বর ব্যবহার করেছিল। প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে তুরস্কের কোড +90 দিয়ে শুরু হওয়া একটি নম্বর ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছিল, তারপর হ্যান্ডলার আরও গোপনীয়তার জন্য মডিউলটিকে 'সেশন' অ্যাপে সুইচ করার নির্দেশ দিয়েছিল। দিল্লি বিস্ফোরণের পর তদন্তকারীরা  পুলওয়ামার বাসিন্দা উমরের নাম খুঁজে পায়। তদন্তকারী  সংস্থাগুলি আরও নিশ্চিত করেছে যে এই বিস্ফোরণে উমরেরও মৃত্যু হয়েছে। পেশায় ডাক্তার উমর, জইশ-ই-মহাম্মদের একটি মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিস্ফোরণের আগেই পুলিশ উমরের গ্যাংয়ের অনেক সদস্যকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তখন উমর ধরা পড়েনি। সেদিনই ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় ফরিদাবাদ থেকে।