নয়াদিল্লি : আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) ইডির (Enforcement Directorate) তলবে আজও যাচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইডির উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমনকে ফের বেআইনি বলে দাবি করল আম আদমি পার্টি। 'ঠিক ভোটের আগে কেন নোটিস ?' ভোটের আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করাই ইডির উদ্দেশ্য বলে অভিযোগ তুলল আপ। যদিও কেজরিওয়াল ইডিকে সহযোগিতা করতে চায় বলেই দাবি করেছে দিল্লির শাসকদল।
এই নিয়ে তৃতীয় বার নোটিস পাঠানো হয়েছে আপের জাতীয় আহ্বায়ক কেজরিওয়ালকে। এর আগে গত ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলব এড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আম আদমি পার্টির বক্তব্য, এজেন্সির সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত কেজরিওয়াল। কিন্তু, তাঁকে গ্রেফতারির উদ্দেশ্য নিয়ে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। দলের তরফে এও অভিযোগ করা হয়েছে, ঠিক ভোটের আগেই কেন কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে ? কারণ, তিনি যাতে ভোটে প্রচারে যেতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
২০২১ সালে, দিল্লির আবগারি নীতিতে বদল আনে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। তখন দিল্লির আবগারি মন্ত্রী ছিলেন মণীশ শিসোদিয়া। অভিযোগ ওঠে, আবগারি নীতিতে বদল এনে, টাকার বিনিময়ে কয়েক জন ব্যবসায়ীকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলায় গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি মণীশ শিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। একই মামলায় গত ৪ অক্টোবর ED-র হাতে গ্রেফতার হন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং।
সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারি নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। মোদিজি যে আতঙ্কিত তা, এর থেকেই স্পষ্ট। নির্বাচনের আগে তারা আরও অনেক বিরোধী দলের নেতাকে গ্রেফতার করবে।
গত বছর এপ্রিল মাসে কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লির মন্ত্রী অতসী সেই সময় বলেন, বিজেপি আপকে নির্বাচনে হারাতে না পেরে কেজরিওয়ালকে নিশানা করেছে। যদি তাকে ইডি গ্রেফতার করে তবে তা হবে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলার খেসারত।
তার আগে অবশ্য কেজরিওয়ালকে সিবিআই একবার তলব করেছিল। এবং ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে বলেও নিজেই জানিয়েছিলেন কেজরি। পরে তাঁকে ডাকা হয় ইডির তরফে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।