নয়াদিল্লি: ধুয়েমুছে সাফ হওয়ার পথে দল। আদর্শের পরিবর্তে তাই ভবিষ্যৎকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। আসনের দখল নিশ্চিত হতেই তাই বিজয়ী দল আম আদমি পার্টিতে (Aam Aadmi Party) গিয়ে ভিড়েছিলেন। কিন্তু 'ভুল' ভাঙল কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। রাতে আপ সদস্য হয়ে ভোর ভোর ফের কংগ্রেসে (Congress) ফিরলেন দিল্লি পৌরসভায় বিজয়ী দলের তিন কাউন্সিলর (MCD Polls 2022)। জানালেন, তাঁরা রাহুল গান্ধীরই সৈনিক। 


রাতে কেজরিওয়ালের দলে গিয়ে ভোরে কংগ্রেসে ফিরলেন দিল্লির তিন কাউন্সিলর


দিল্লি পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে আপ। এককালে রাজধানীতে একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা কংগ্রেস সেই তুলনায় গুটিয়ে গিয়েছে। গুটিকয়েক ওয়ার্ডই ধরে রাখতে পেরেছে তারা। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আলি মেহদির আসনও তার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বিজয়ী হতেই কংগ্রেসে ভবিষ্যৎ নিয়ে দোটানায় পড়েন আলি। ফলে আরও দুই কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সন্ধেয় যোগ দেন আপ-এ। 



আরও পড়ুন: Gujarat Government Formation: নরেন্দ্রর পরিশ্রমের সুফল পেলেন ভূপেন্দ্র! সোমবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ


কিন্তু রবিবার ভোর ভোর সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমাপ্রার্থনার ভিডিও পোস্ট করেন তাঁরা। তাতে হাতজোড় করে 'ভুল' স্বীকার করতে দেখা যায় তাঁদের। জানান, আপ-এ যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মস্ত বড় ভুল ছিল। কংগ্রেসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের বায়ো পাল্টে 'ভারতীয়' থেকে 'রাহুল গান্ধীর সৈনিক'ও লিখে ফেলেছেন। 


মেহদি আপ-এ যোগদান করার পরই উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুস্তাফাবাদ, ব্রিজপুরি এলাকায় বিক্ষোভে নামেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন, দলের সোশ্যাল মিডিয়া অধ্যক্ষ মনু জৈনও মেহদির সমালোচনায় মুখ খোলেনষ তাঁকে 'বিষধর সাপ', 'দলবদলু' বলেও উল্লেখ করা হয়। এর পরই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ভোর ভোর কংগ্রেসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন মেহদি এবং বাকি দুই বিধায়ক, মুস্তাফাবাদের সাবিলা বেগম এবং নাজিয়া খআতুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ করে ক্ষমাও চান মেহদি। 


ভিডিও বার্তায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন কংগ্রেস নেতা, রাহুল গান্ধীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন


ভিডিও বার্তার পর ট্যুইটারে মেহদি লেখেন, "কোনও পদ চাই না আমার। শুধু কংগ্রেসের জন্য কাজ করতে চাই। মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছি। হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি তার জন্য। রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, দলের কর্মী এবং এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেসিদের সৈনিক। চিরকাল কংগ্রেসিই থাকব।"