নয়াদিল্লি: নির্যাতিতার বাবা-মা’র আবেদন মেনে নির্ভয়া ধর্ষণ মামলাটি অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সতীশ শাহর কাছে পাঠাল পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। এবার তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন, নির্ভয়া গণধর্ষণে দোষীদের ফাঁসির সাজা কার্যকর হবে কি না। ২৮ নভেম্বর তাঁর এজলাসে মামলাটির শুনানি হবে।
এর আগে বিচারপতিদের বদলির কারণে মামলাটি বারবার মুলতুবি হয়ে যায়। পাতিয়ালা হাউস কোর্টে যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত মামলাগুলির দ্রুত শুনানির জন্য যে বিশেষ ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি হয়েছিল, সেখানে এখন কোনও বিচারককে নিযুক্তই করা হয়নি।
অন্যদিকে এই ঘটনায় দোষীদের সবরকম আইনি সুরক্ষার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করে আদালতে তাদের ফাঁসির সাজা কার্যকর করার জন্য আবেদন করে নির্যাতিতার পরিবার।
তিহাড় জেলের ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ গোয়েল জানিয়েছেন, নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজা পাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন তিহাড় জেলে রয়েছে। চতুর্থজন রয়েছে মাণ্ডোলি জেলে৷ চার জনকেই নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছে। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও সিলমোহর দিয়েছে সেই সিদ্ধান্তে। এই অবস্থায় চারজনই ফাঁসির সাজা রদ করার আবেদন করতে পারত৷ জেল তাদের এ বিষয়ে জানিয়েছিল৷ এখনও তারা সেই আবেদন করেনি। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করলে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড মকুব করে যাবজ্জীবন দিতে পারেন তিনি।
২০১২ সালের  ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে মুনিরকা এলাকায় চলন্ত বাসের ভিতরে ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ছয় দুষ্কৃতী। মারা যান ওই ছাত্রী। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পরে মুক্তি পায়। বাকিদের মধ্যে একজন জেলের ভিতরে আত্মহত্যা করে।