নয়াদিল্লি : আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে সারা দেশেই। তারই মধ্যে ২ দিন আগেই দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকায় এক নার্সিং হোমে নিজের চেম্বারের ভেতরেই খুন হয়ে যান এক ডাক্তার। চাঞ্চল্য ছড়ায়  রাজধানীতে। একজন সিনিয়র চিকিৎসককে কেন এভাবে মারল দুই কিশোর ?  অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ১৬ বছরের কিশোরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। আর তার পরই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হঠাৎ ডাক্তারের উপর কোন প্রতিহিংসায় খুন? সেই খোঁজ করতেই জেরা করা হয় ধৃত যুবককে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, এই কিশোরকে খুন করার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। 


রিপোর্টে প্রকাশ, ওই কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একটি মেয়ের। তার বাবাই এই সুপারি দেয়। পেশায় ওই মেয়েটির মা নার্স। লোকটির সন্দেহ ছিল, তাঁর নার্স-স্ত্রী ওই ডাক্তারের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত। সুপারি দিয়ে ওই কিশোরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ওই লোকটিকে মারতে পারলে তিনি তার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবেন। ওই লোকটির মেয়েকে বিয়ে করা ও মোটা টাকা, এই দুইয়ের লোভ সামলাতে না পেরেই খুন, মনে করছে পুলিশ। স্রেফ সন্দেহের বশেই দিল্লির হাসপাতালের ইউনানি ডাক্তারকে খুন করার সুপারি দিয়েছিল লোকটি। 



দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ড্রেসিং করানোর অজুহাতেই  নিমা হাসপাতালে এসেছিল ওই কিশোর। সে নাবালক। তার সঙ্গে ছিল আরও একজন। হাসপাতালে গিয়ে এক কম্পাউন্ডারের সঙ্গে দেখা করে তারা।  ওই কিশোরের পায়ের ক্ষতে ব্যান্ডেজ লাগায়। আঙুলে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছিলেন এক কম্পাউন্ডার। তারপর তারা ইউনানি চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে চায়। ধৃত কিশোরই ডাক্তারের উপর গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ।   


হত্যাকাণ্ডের পর সবার হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে যখন, তখনই পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়্ ঘেঁটে এই সূত্র পায়। পুলিশ জানায়, হত্যার পর, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করে।হাতে বন্দুক আর ক্যাপশন – কর দিয়া ২০২৪ মে খুন। ওই কিশোরকে হাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।  


দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, নাবালিকার বাবার এটিএম থেকে টাকাও তুলেছিল ওই কিশোর।  সেটাও তদন্তের সূত্র ছিল। 


 


আরও পড়ুন : 


আজই ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, দুর্যোগ কাটবে কি পুজোর আগে? ষষ্ঠী থেকে দশমী, কবে কেমন আবহাওয়া?