নয়া দিল্লি : জেলে বন্দি একনিষ্ঠ সহকর্মী তথা দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাঁর জন্য মন খারাপে এবার কেঁদে ফেললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi Chief Minister Arvind Kejriwal)। শহরে এক স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় সহকর্মীর কথা তুলে ধরেন তিনি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলে সিসোদিয়া।


চোখে জল নিয়ে আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজ মণীশজির কথা খুব মনে পড়ছে। উনিই এটা শুরু করেছিলেন। এটা তাঁর স্বপ্ন ছিল, যে প্রত্যেক শিশু যেন সম্ভাব্য সবথেকে ভাল শিক্ষা পায়। উনি আজ জেলে, কারণ উনি চেয়েছিলেন ভাল স্কুল তৈরি করতে। উনি শিশুদের জন্য যথার্থ শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।"


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বিজেপির বিরুদ্ধে আগাগোড়া সুর চড়ান আম আদমি পার্টির জাতীয় কনভেনার কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, "এরা চাইছে, দিল্লিতে শিক্ষায় যে বিপ্লব এসেছে তা শেষ করে দিতে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।" সেই সময় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। উৎসাহিত কেজরিওয়াল বলতে থাকেন, "ওরা মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। মিথ্যা মামলা করেছে এবং এরকম একটা (মণীশ সিসোদিয়া) ভাল মানুষকে জেলে রেখে দিয়েছে। ওরা কেন জেলে রেখেছে ? দেশে তো কত ডাকাত খোলামেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদি মণীশ সিসোদিয়া ভাল শিক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত না করতেন এবং ভাল স্কুল নির্মাণে সাহায্য না করতেন, তাহলে তাঁকে জেলে যেতে হতো না।"


মণীশ সিসোদিয়ার কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলতে থাকেন, "আমাদের চেষ্টা করতে হবে তাঁর স্বপ্ন পূরণ করার এবং নিশ্চিত করতে হবে যাতে তাঁর কাজ থেমে না থাকে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে, উনি শীঘ্রই ছাড়া পেয়ে যাবেন। সত্য কখনো হারে না। ঈশ্বর তাঁদের সাহায্য করেন, যাঁরা সত্যের পথে থাকেন। কিন্তু, যতদিন না উনি ছাড়া পাচ্ছেন, আমাদের এই ক্ষেত্রে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হবে এবং শিশুদের সবথেকে ভাল শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।"


গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিবিআই গ্রেফতার করেছিল মণীশ সিসোদিয়াকে। রাজধানীতে মদ নিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকজন ডিলারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই আপ নেতার বিরুদ্ধে। দলের তরফে যদিও যে কোনও ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে বিজেপির দাবি, যদি সত্যি নতুন নিয়মে কোনও ভুলত্রুটি না থাকত তা হলে আপ কি এই নিয়ম প্রত্যাহার করত ? প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই আরও রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।