নয়াদিল্লি: মাশরুম চাষ করেন দিল্লির পাপ্পন সিংহ নামে এক ব্য়ক্তি। নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন কার্যকর হওয়ায় বিহারে পাঠিয়ে দেওয়া নিজের ২০ কর্মীকে দিল্লি ফেরাতে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে প্লেনের টিকিট কাটলেন তিনি। আগস্ট থেকে এপ্রিল মাশরুম চাষের মরসুম। সেসময় যাতে ওঁরা আবার কাজে যোগ দিতে পারেন, সেজন্য লাখ টাকার ওপর দামের টিকিট কাটলেন পাপ্পন। ওঁদের দশজন জীবনে প্রথমবার প্লেনে চড়বেন। গোটা দলটা তাঁর সঙ্গে দিল্লির তিগিপুর গ্রামের ক্ষেতে কাজ করবে।
পাপ্পনের কর্মীদের একজন, নবীন রাম জানিয়েছেন, তিনি গত মে মাসে প্রথম বিমানে চাপেন, বিহার ফেরার সময়। এবার দিল্লি আসার জন্য তিনি ও বাকিরা রেলের টিকিট বুক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগামী দেড় মাসের কোনও ট্রেনই যে নেই! নবীন বলেছেন, ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকলে এ বছর আর মাশরুম চাষ করা হবে না। তাই মালিককে বলতেই তিনি বলেন, যাতে আমাদের দেরি না হয়, সেজন্য প্লেনের টিকিট কাটবেন।
২৭ আগস্ট ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের নিজেদের বাড়ি থেকে পটনা বিমানবন্দরে নিয়ে আসার যাবতীয় ব্যবস্থাও সারা।
প্রতি বছরই নিজের তিন একরের ওপর জমিতে মাশরুম চাষ করেন পাপ্পন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার বন্ধ থাকায় আগের মাশরুমই এখনও সাপ্লায়ারদের কাছে পড়ে আছে, তাই এবার মাত্র এক একর জমিতেই চাষ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কর্মীদের নিজের পরিবারেরই লোক হিসাবে দেখেন পাপ্পন, কেননা ওঁদের কয়েকজন ১৫ থেকে ২৫ বছর হল তাঁর কাছেই কাজ করেন। গত মে মাসে ওঁদের প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করে বিহারে ফিরিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ওদের সঙ্গে হৃদয়, মনের যোগ আছে আমার। সেজন্যই ওদের জন্য প্লেনের টিকিট কেটে দিয়েছি যাতে কাজে ফিরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
বিহারে পাঠিয়েছিলেন প্লেনে, ২০ কর্মীকে দিল্লি ফেরাতেও লাখ টাকার বিমানের টিকিট কেটে দিলেন এই মাশরুম চাষি
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
24 Aug 2020 11:37 AM (IST)
নবীন বলেছেন, ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকলে এ বছর আর মাশরুম চাষ করা হবে না। তাই মালিককে বলতেই তিনি বলেন, যাতে আমাদের দেরি না হয়, সেজন্য প্লেনের টিকিট কাটবেন।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -