নয়াদিল্লি: নির্ভয়া গণধর্ষণ, হত্যায় দোষী চার অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করার জন্য নতুন দিন ঘোষণা করা হোক। আজ এক আদালতে এই আবেদন জানাল দিল্লি সরকার। অপরাধীদের আইনি সুরাহা পাওয়ার যাবতীয় রাস্তা এখন বন্ধ, আর কিছু বাকি নেই বলে সওয়াল করেছে তারা। দিল্লি সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধীদের আগামীকালের মধ্যে জবাব পেশ করতে বলেছেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা।
যদিও সরকারপক্ষের আইনজীবী কোনও নোটিসের দরকার নেই বলে জানান। তবে নোটিস জারি করে আদালত বলেছে, স্বাভাবিক ন্যয়বিচারের নীতিসমূহ সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের (জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার) অন্তর্গত এবং অপরপক্ষের বক্তব্য শোনার অলঙ্ঘনীয় নীতি অগ্রাহ্য করা যায় না।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জনৈক কর্তা আজ আগে জানান, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ চার দোষীর অন্যতম পবন কুমার গুপ্তার ক্ষমাভিক্ষার পিটিশনও বাতিল করে দিয়েছেন। আদালত সোমবারই পরবর্তী নির্দেশ বেরনো পর্যন্ত চার অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলানো স্থগিত রাখে। মঙ্গলবার চারজনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত চার দোষী মুকেশ কুমার সিংহ, পবন, বিনয় ও অক্ষয় কুমার সিংহের মৃত্যু পরোয়ানা ৩ মার্চ সকাল ৬টায় কার্যকর করা হবে বলে ঘোষণা করে। কিন্তু চার অপরাধীই আইনি সুরাহার সুযোগ নেওয়ার ব্যাপারে দেরি করে। ফলে তিন-তিনবার মৃত্যু পরোয়ানা স্থগিত হয়ে যায়। কেননা নিয়মানুসারে একই অপরাধে দোষী ঘোষিত সবাইকে একযোগে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে, এটাই নিয়ম। রাষ্ট্রপতি বাকি তিন অপরাধী মুকেশ, বিনয় ও অক্ষয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন আগেই খারিজ করেছিলেন।
চলতি মার্চেই চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হতে পারে বলে দাবি সূত্রের।
এদিকে নির্ভয়ার পরিবারও মেয়ের ধর্ষকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য নতুন দিন ঘোষণার দাবিতে আদালতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্ভয়ার বাবা-মায়ের আইনজীবী সীমা কুশওয়া।
তিহার জেল কর্তৃপক্ষও চার দোষীর মৃত্য়ুদণ্ড কার্যকর করতে নতুন দিন স্থির করার পক্ষে সওয়াল করে পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে।


Sources have claimed that the final hanging may take place in the month of March.