কলকাতা: কত সংখ্যক ভ্যাকসিন তৈরি করার ক্ষমতা আছে সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের? তা জানতে চেয়ে জবাব তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট। কোভিশিল্ডের স্থানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। এবার তাদের ভ্যাকসিন তৈরি করার ক্ষমতা জানতে চাইল আদালত।


বর্তমানে ৪৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত যাদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদের এবং ৬০ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ করা হচ্ছে। কীসের ভিত্তিতে এই বয়সের সীমা করা হচ্ছে, কীভাবে তাঁদের চিহ্নিত সেই জবাবও আদালত তলব করেছে।


বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘী, এবং রেখা পাল্লির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের আরও ভ্যাকসিন তৈরি করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু তারা সেই ক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছে না। বেঞ্চ এদিন বলেছে, আমরা আমাদের কার্যক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছি  না। আমরা হয়, বিদেশে রফতানি করছি, না হয় দান করছি। কিন্তু দেশবাসীকে টিকাকরণ করছি না। কিন্তু এটা আমাদের দায়িত্ব। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণও।


এদিন একইসঙ্গে দিল্লি সরকারকে আদালত চত্বরে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে বেঞ্চ। কোভিড ১৯ টিকাকরণ কেন্দ্র করা যায় কি না তাও দেখতে বলা হয়েছে। বার কাউন্সিল অব দিল্লি আদালতে আবেদন জানিয়েছে, যারা বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের টিকা দেওয়া হোক। এই তালিকায় আছেন, বিচারক, আদালতের কর্মী, আইনজীবী। প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে সংশ্লিষ্টদের টিকাকরণ করার দাবি জানিয়েছে বার কাউন্সিল।


উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। বর্তমানে তৃতীয় দফার টিকাকরণ চলছে। এর আগে স্বাস্থ্যকর্মী সহ প্রথম সারির যোদ্ধাদের টিকাকরণ করা হয়েছে।