বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: সবুজ কার্পেটের নিচে লুকনো সুড়ঙ্গে প্রবেশের পথ। দিল্লি বিধানসভার একটি ঘরে মিলল প্রাচীন সুড়ঙ্গের হদিশ। অধ্যক্ষের দাবি, সম্ভবত ব্রিটিশরা বিধানসভা থেকে লালকেল্লায় বন্দিদের নিয়ে যেত এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত।


দিল্লি বিধানসভায় সুড়ঙ্গ-রহস্য! বিধানসভার একটি ঘরে এই টানেলের হদিশ মিলেছে। সবুজ কার্পেটের গালিচা। আর, তা সরাতেই বেরিয়ে এল সুড়ঙ্গে প্রবেশের পথ! কিন্তু কারা তৈরি করল এই সুড়ঙ্গ? সুড়ঙ্গ-পথে কোথায় যাওয়া যায়? 


দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রামনিবাস গোয়েল বলছেন, ' আমি ১৯৯৩ সাল থেকে বিধায়ক, তখন থেকেই শুনে আসছি, দিল্লি বিধানসভা থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত সুড়ঙ্গ আছে। এটি সেই সুড়ঙ্গ। ব্রিটিশরা এই পথে বন্দিদের নিয়ে আসত।'


১৯১২ সালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর হয়। ১৯২৬ সালে আদালত হিসাবে ব্যবহার করা হত দিল্লি বিধানসভা। দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষের দাবি, সম্ভবত তখনই এই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। 


খুব তাড়াতাড়ি এই সুড়ঙ্গের ঘরটি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। মেরামতির পর, আগামী বছর ১৫ অগাস্ট দর্শকের জন্য এই সুড়ঙ্গ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ।


সম্প্রতি পরিবেশবিদ সুন্দরলাল বহুগুণাকে 'ভারত রত্ন' দেওয়ার দাবি তুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি বিধানসভায় এই বিষয়ে পাশ হয়েছে প্রস্তাব। এ প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''সুন্দরলাল বহুগুণাকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও একই প্রস্তাব রাখবে দিল্লি সরকার। পরিবেশ রক্ষা ছাড়াও উনি অনেক সামাজিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।''


১৯২৭ সালের ৯ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডের তেহরির কাছে মারোদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বহুগুণা। মহাত্মা গাঁধীর এই অনুরাগী উত্তরাখণ্ডে বেশ পরিচিত নাম। পরিবেশবিদ হিসাবে তাঁর যথেষ্ট নাম ছিল। বহু পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর সবথেকে বড় অবদান চিপকো আন্দোলনকে ঘিরে। এই আন্দোলনই বহুগুণাকে সংবাদের শিরোনামে নিয়ে আসে। হিন্দি শব্দ 'চিপকো'র অর্থ আলিঙ্গন। বনের ঠিকাদাররা গাছ কাটতে এলে গাছ জড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তেন আন্দোলনকারীরা। গত ২১ মে প্রয়াত হন এই বিশিষ্ট পরিবেশবিদ।