নয়াদিল্লি: রাজধানীতে আরও একসপ্তাহ বাড়ানো হল লকডাউন। আজ রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ৩১ মে পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন পর্ব। যদি এরপরও ধীরে ধীরে দৈনিক সংক্রমণের হার কমতে থাকে তাহলে ৩১ মে-র পর থেকেই আনলক পর্ব শুরু হবে বলেই জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।


মাসখানেক আগেই করোনা সংক্রমণের প্রথমসারিতে ছিল দিল্লি।  অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট, বেডের অভাব, মৃত্যুমিছিলের ভয়াবহতার সাক্ষী হয়েছিল দিল্লি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ কার্যত ধুঁকছিল দিল্লি। রাজধানীর এই বেলাগাম সংক্রমণ থামাতেই লকডাউনের পথে হেঁটেছিল কেজরিওয়াল সরকার। এরপর দফায় দফায় বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। আর এতেই কিছুটা ইতিবাচক কাজ হয়েছে বলেই মনে করছে দিল্লির সরকার। 


পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীতে কোভিড পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গত এক মাসেই দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার যেখানে ২৫ শতাংশ ছিল, সেখানে শনিবার তা ৩.৫৮ শতাংশে এসে ঠেকেছে। বিগত তিন দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণও ৪ হাজারের নীচে। তবে পরিস্থিতি আরও খানিকটা বাগে আনতেই এই পরিস্থিতিতে ফের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।


কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, 'আমরা জানি না কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কতদিন স্থায়ী হবে। তবে  দিল্লির মানুষের সহযোগিতায় ১ মাসেই করোনা পরিস্থিতি অনেকটা ভাল। গোটা দিল্লি পরিবারের মতো  এক হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে। তখন অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট ছিল। এথন ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে। তবু আমার বিশ্বাস এটারও একটা সমাধান মিলবে।'


তিনি আরও জানান, 'দিল্লিতে কোভিডের সংক্রমণ নীচের দিকে। হয়ত আমরা এখনও জিতে যাইনি। তবে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। একটা সময়ে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৮,০০০। এথনও সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১,৬০০-তে। এখন প্রথম কাজ যত শীঘ্র সম্ভব দিল্লির মানুষের টিকাকরণ নিশ্চিত করা।'


কেজরিওয়াল সরকারের তরফে এও জানানো হয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ কমার প্রবণতা যদি আগামী দিনেও বজায় থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে দফায় দফায় আনলক-পর্ব শুরু করবে সরকার।