নয়াদিল্লি: বিনা প্ররোচনায় যুবককে মারধরের অভিযোগে এক জেলা শাসককে বহিষ্কার করল ছত্তীসগঢ় সরকার। ওই জেলা শাসকের নাম রনবীর শর্মা। আইএএস পদাধিকারী ওই জেলা শাসক। কেন কোভিড বিধি ভেঙে যুবক বাইরে বেরিয়েছেন সেই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে প্রথমে এক যুবককে চড় মারেন। শুধু তাই নয়, অন্য পুলিশ কর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকেও নির্দেশ দেন ওই যুবককে মারতে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রনবীর শর্মাকে বহিষ্কার করে  ছত্তীসগঢ় সরকার। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।


ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনার ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছত্তীসগঢ়ের সুরাজপুরের জেলা শাসক এই যুবককে রীতিমতো ধমক দিচ্ছেন। কেন বাইরে বেরিয়েছেন তা জানেতে চাইছেন। এরপর ওই যুবকের ফোন আছড়ে ভেঙে ফেলেন। যুবক একটি কাগজ দেখাতে গেলে তাঁকে সপাটে চড় মারেন ওই জেলা শাসক। এরপর পুলিশ কর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ডেকেও যুবককে মারতে নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান ওই যুবককে লাঠি দিয়ে মারেন।



এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, সুরাজপুরের কালেক্টর রনবীর শর্মা এক যুবকের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এই ধরনের ঘটনা ছত্তীশগঢ়ের বরদাস্ত করা হবে না। দ্রুত রনবীর শর্মাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও সরকারি আধিকারিকের এই আচরণ মেনে নেওয়া যাবে না। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমি ওই যুবক এবং তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।



করোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি করা হয়েছে ছত্তীসগঢ়ে। আর সেই বিধি পালনে জেলা শাসকের অতি সক্রিয়তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ইতিমধ্যে তোলপাড় হয়েছে। আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ট্যুইট বলা হয়, ছত্তীসগঢ়ের  সুরজপুরের জেলা শাসকের আচরণের তীব্র নিন্দা করছি। এটা গ্রহণযোগ্য নয় এবং মূল কাজের পরিপন্থী। সমাজের জন্য যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ন্যূনতম সহানুভূতি থাকা উচিত। এই কঠিন সময়ে সমাজের জন্য সহমর্মিতা থাকা উচিত।