নয়াদিল্লি: গোটা রাজধানী জুড়ে অক্সিজেনের হাহাকার। ধুঁকছে দেশও। একদিকে যখন ভয়াবহ সঙ্কট অন্যদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই চলছে অক্সিজেনের কালোবাজারি। এবারও ঘটনাস্থল রাজধানী। শুক্রবার দিল্লির খান একটি রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার ৯৬ টি কনসেনট্রেটর উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশি অভিযানের একটি ভিডিও-ও টুইটারে শেয়ার করেছে দিল্লি পুলিস। যদিও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 



 


যদিও ইতিমধ্য়েই একাধিক অক্সিজেন এক্সপ্রেস পৌঁছেছে দিল্লিে। প্রধানমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও যেন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। একদল অসাধু ব্যবসায়ী টাকার লোভে মহামারী আবহেও কালোবাজারি চালাচ্ছে। এর আগে অক্সিজেনের কনসেন্ট্রেটরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযানে ১১৫টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৪০,০০০ টাকার কনসেনট্রেটর প্রায় ১.১ লক্ষ টাকা দামে বিক্রি করছিলেন অভিযুক্তরা। 


পাশাপাশি গত ২৪ এপ্রিল দিল্লির দশরথপুরি এলাকা থেকে এরকমই ৪৮ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। সিলিন্ডারগুলি মজুত করার অভিযোগে গতকালই অভিযুক্ত অনিল কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


সম্প্রতি দিল্লিতে অক্সিজেনের কালোবাজারি নিয়ে সরকারকে তুলোধনা করে দিল্লি হাইকোর্ট। বলা হয়, 'প্রশাসনের পরিকাঠামো ব্যর্থ। পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারদের দায়িত্ব সামলাতে বলুন।' 


গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে অক্সিজেন সংকট ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছেন প্রচুর রোগী। পরিস্থিতি সামলাতে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ালেও এখনও দিল্লির অবস্থা আশঙ্কাজনক। একাধিক হাসপাতালের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। জানানো হয়েছে অক্সিজেন নেই। ঠিক এই অবস্থাতেই দিল্লির আপ-সরকারকে করা ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।


সেখানকার মহামান্য আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা আপনারা সামলাতে চরমভাবে ব্যর্থ। যদি আপনারা না পারেন তাহলে জানিয়ে দিন, কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসাররা পরিস্থিতি সামলানোর দায়ভার নেবে।'