নয়াদিল্লি: বছর যায়, বছর আসে। কিন্তু দিল্লির (Delhi) দূষণের পরিস্থিতির কোনও বদল হয় না। প্রতিবছর শীতের আগে ভয়াবহ দূষণে ঢেকে যায় দিল্লি এবং লাগোয়া নয়ডা-গুরগাঁওয়ের আকাশ। এবারেও ছবিটা একই।
শুক্রবারও দিল্লির বাতাসের মান অতি খারাপ (Very Poor) বিভাগের। বৃহস্পতিবারই একটু কমেছিল দূষণের মাত্রা। বাতাসের গতি ভাল ছিল, লাগোয়া রাজ্যে বৃষ্টি হয়েছিল এবং ফসলের গোড়া পোড়ানোর থেকে দূষণের মাত্রাও কমে গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার ফের অতি খারাপ (Very Poor) বিভাগের পৌঁছে গেল দূষণ।
নানা পদক্ষেপ:
দূষণে লাগাম পরাতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে নির্মাণশিল্পের একাধিক কাজ, এবং ভাঙাচোরার কাজও। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছাড়া সব বন্ধ। দিল্লি-এনসিআর (Delhi NCR)-এ ইটভাটা, হট মিক্স প্ল্যান্ট এবং পাথর ভাঙার কাজও সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। সকাল থেকে গাঢ় ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে গোটা রাজধানী। দিল্লি আন্তজার্তিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কম দৃশ্যমানতার জন্য যাত্রীদের সতর্কও করেছে। যদিও বিমান বাতিলের কোনও খবর শোনা যায়নি। দূষণে লাগাম পরাতে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওয়াটার জেট-স্প্রে করা হচ্ছে।
দূষণ কমাতে পুলিশি প্রচার:
'গাড়ি অফ' নামে একটি প্রচার শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। ট্রাফিকে দাঁড়ানোর সময় গাড়ির ইঞ্জিন অফ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তার জন্য বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। ট্রাফিকে অপেক্ষা করার সময় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখলে কিছুটা হলেও দূষণ কমানো সম্ভব।
এর আগে দিল্লিতে ৫০ শতাংশ সরকারি চাকরিজীবীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home)-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন। দূষণের কারণে বন্ধ ছিল শিশুদের স্কুলও। শুধু দিল্লি নয়, দূষণের সমস্যায় জেরবার দিল্লি লাগোয়া গুরগাঁও এবং নয়ডা। সেখানেও ধোঁয়াশার ঢেকেছে চারিদিক।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরুতে সবুজ পতাকা মোদির