নয়াদিল্লি: রোজকার মতো একটা সন্ধে নামছিল দিল্লি জুড়ে। রোজকার মতোই ভীষণ ব্যস্ত ছিল পুরনো দিল্লির লালকেল্লা আর ঐতিহাসিক এই স্থাপত্যের আশেপাশের সংলগ্ন এলাকা। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ, কেঁপে উঠলেন সাধারণ মানুষেরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই, পর পর গাড়িতে আগুন। আগুন লেগে যায় বাসেও। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে দিল্লির অন্যতম জনবহুল এলাকা, চাঁদনি চক এবং লালকেল্লার আশ পাশ। ১০ নভেম্বর, পুরনো দিল্লির বুকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল দেশের রাজধানী!
কেন এই বিস্ফোরণ, কীভাবে ঘটে গেল এই বিস্ফোরণ, তা এখনও স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেশের সমস্ত ইন্টেলিজেন্স। জানা যাচ্ছে, একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখান থেকেই আগুন লেগে যায় পাশাপাশি অনেকগুলি গাড়িতে। আগুন লেগে যায় ২টো বাসেও। একজন প্রতক্ষদর্শী বলছেন, 'কিছুই বুঝতে পারলাম না। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ। একটু এগিয়ে গিয়েই দেখি, রাস্তায় পড়ে রয়েছে মানুষের হাত! আর একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি, কারও ফুসফুস শরীর ফেটে বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে আছে রাস্তায়! বর্ণনা করতে পারব না কী দৃশ্য দেখেছি।'
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, 'এই তো পিছনেই আমার দোকান। চেয়ারে বসেছিলাম, হঠাৎ ভীষণ জোরে বিস্ফোরণের শব্দ। এত জোরে শব্দ জীবনে শুনিনি। ৩ বার চেয়ার থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। উঠে আওয়াজ লক্ষ্য করে ছুটলাম। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল, বাঁচব না। মৃত্যুকে ভীষণ সামনে থেকে দেখলাম। এত আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত। অনেতে আমায় ধরে, জল দিয়ে শান্ত করেন।' আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, 'ছাদ থেকে আগুন দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। ভীষণ জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলাম। বাড়ির কাচ নড়ছিল। ছুটে নীচে এসে দেখি, ভয়াবহ অবস্থা।'
প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যাচ্ছে, গাড়ি সিগনালে দাঁড়িয়ে ছিল। সিগনাল লাল থেকে সবুজ হতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন DIG CRPF কিশোর প্রসাদ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'ঘটনাটা নিয়ে এখনই কিছু বলা উচিত নয়। প্রথমে পরিস্থিতি দেখতে দিন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি। পরিস্থিতি দেখে অবশ্যই জানাব।'
ইতিমধ্যেই, দিল্লির বিস্ফোরণের এই ঘটনায় জঙ্গিযোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে NSG ও NIA।