নয়া দিল্লি: রাজধানীতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে বিস্ফোরণের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দিল্লির রাজপথ। পুড়ে খাক হয়ে গেল একের পর এক গাড়ি। এখনও পর্যন্ত খবর এই ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জখম বহু মানুষ। সূত্রের খবর, একটি হাসপাতালে যখন ১৫ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই সময় হাসপাতালে ঢোকার সময়ই ৭ জনের মৃত্যু হয়। ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনার সময় আশেপাশেই ছিলেন এক স্থানীয় যুবক। জনবহুল এই এলাকায় সন্ধ্যে ৭টার কিছু আগে এই ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা অঞ্চল। প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, 'হঠাৎ বিরাট আওয়াজ। মনে হল পৃথিবী দু'ভাগ হয়ে গিয়েছে। কানে তালা লেগে গিয়েছিল। এরপরই গিয়ে দেখি চতুর্দিকে আগুন জ্বলছে। দাউ দাউ আগুন। আমরা অনেকে সেখানে ছুটে যাই। কাছে যেতেই দেখি মৃতদের শরীর ছিন্নভিন্ন। রাস্তায় মৃতদেহ দেহাংশ পড়ে রয়েছে। কারও হার্ট বেরিয়ে এসেছে, কারও ফুসফুস বেরিয়ে এসেছে। এক ভয়ানক দৃশ্য।'
দিল্লির দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের পরই দিল্লিজুড়ে হাই অ্য়ালার্ট জারি করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে NIA-NSG। তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। রয়েছে স্পেশাল সেল-ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এর পেছনে কারা? কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ? খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজধানীর বুকে এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টার সাঁটার অভিযোগে ধৃত চিকিৎসককে জেরা করে এই বিস্ফোরকের ভাণ্ডারের হদিশ মেলে। দিল্লির বিস্ফোরণের নেপথ্য়েও কি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হাত থাকতে পারে? এবার কি সেই সেই মাসুদ আজহারই ফের হামলা চালাল ভারতে? তার জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত কি থাকতে পারে দিল্লি বিস্ফোরণে?