দিল্লির লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলা থেকে আমির এবং উমর নামে দুই যুবকের নাম জড়িয়েছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সঙ্গে। তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর। দিল্লিতে যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় তিনবার সেটির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। সূত্রের খবর, এই বছরই সলমানের কাছ থেকে গাড়িটি কিনেছিলেন দেবেন্দ্র। তারপর অক্টোবরে দেবেন্দ্রের কাছ থেকে গাড়িটি কেনেন আমির। এখানেই শেষ নয়, তারপর আমিরের কাছ থেকে গাড়িটি আসে উমর মহম্মদের কাছে। সূত্রে খবর, আমির এবং তারিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নজরদারিতে রয়েছেন এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, উমর মহম্মদ পুলওয়ামার বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক। যে i20 গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়, সেই গাড়ির চালকের আসনে দেখা যায় উমর মহম্মদকে। পেশায় চিকিৎসক উমর কেন এ কাজ করল, কী বলছে তার পরিবার।
কাশ্মীরে বসবাসকারী উমর ও আমিরের পরিবার যদিও দাবি করেছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি তাদের নয়। কখনও এইচআর নম্বরের কোনও গাড়ি তারা কেনেইনি। পরিবারগুলোর দাবি, তাদের সন্তানরা নির্দোষ এবং তারা কখনও জম্মু ও কাশ্মীর ছেড়েই যায়নি। ওমরের বাবার দাবি, তাদের গাড়ি, তাদের বাড়িতেই রয়েছে । তাদের পরিবারের একটাই গাড়ি, তা বেশ পুরনোও। মিডিয়ায় যে নম্বর প্লেটের খবর প্রকাশিত হচ্ছে তা ভুল। ইতিমধ্যে, তদন্তকারী সংস্থাগুলি বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি সুনেহরি মসজিদের পার্কিং লটে প্রায় তিন ঘন্টা পার্ক করা ছিল। সন্ধ্যায়, লাল কেল্লা এলাকায় ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি পার্কিং লট থেকে বেরিয়ে যায় এবং এর কিছুক্ষণ পরেই বিস্ফোরণ ঘটে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, ফরেনসিক টিম এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষী (এনএসজি) ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনার পর তিনদিনের জন্য় লালকেল্লা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল ASI. নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন। ঘটনার পর পাহারগঞ্জ, দারিয়াগঞ্জের বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়েছে।