নয়াদিল্লি: দিল্লিতে গত কয়েকদিনের লাগামছাড়া হিংসা, অশান্তির পিছনে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, দিল্লির বাইরের নানা লোকজনের ভূমিকার দিকে নজর পুলিশ, তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তরপূর্ব দিল্লির দাঙ্গা-হিংসার ব্যাপারে দিল্লি পুলিশ ১৮টি এফআইআর দায়ের করেছে, হাত থাকার সন্দেহে ১০৬ জনকে গ্রেফতারির কথা জানিয়েছে।
একাধিক সূত্রের বক্তব্য, সোমবার সকাল থেকেই হিংসা, অশান্তি বাঁধানোর প্রস্তুতি, তোড়জোড় শুরু হয়। বাজেয়াপ্ত হওয়া একাধিক ফোনের বার্তা থেকে জানা গিয়েছে, রসদ মজুত করা হচ্ছিল। মৌজপুর, বদরপুর, চাঁদবাগ ও কর্দমপুরিতে পাথর নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ চালাচালি হয়েছে। তাছাড়া ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো মন্তব্য, গুজব ছড়ানো, হামলার ছক নিয়েও আলোচনা হয় গ্রুপগুলিতে।
স্থানীয়রা তো ছিলই, পার্শ্ববর্তী উত্তরপ্রদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় লোকজন ঢুকে হিংসায় যোগ দিয়েছে। সীমান্ত সিল করা হয় সবে মঙ্গলবার বিকালে।
অস্ত্র, হাতিয়ারের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সূ্ত্রগুলি বলেছে, সোমবার, মঙ্গলবার রাউন্ড আদানপ্রদান হয়েছে। পুলিশকে নিশানা করে শুধুমাত্র পাথরবৃষ্টিই হয়নি, নানা জায়গায় দুষ্কৃতীরা দেশি রিভলভারও ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার চাঁদবাগ এলাকায় নালা থেকে উদ্ধার হয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো অফিসার অঙ্কিত শর্মার দেহ। তাঁর হত্যার তদন্তে বিশেষ দল গঠন করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁকে মারধর করা হয়েছে, অত্যাচার হয়েছে তাঁর ওপর। নালায় ফেলে দেওয়ার আগে তাঁকে পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্রগুলি।
তারা আরও বলেছে, দাঙ্গা ছাড়াও একাধিক স্থানে লুঠপাট, ডাকাতি হয়েছে, এতে স্থানীয় নানা গ্যাংয়ের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।