নয়াদিল্লি: হরিয়ানার বিদ্য়ুত মন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য। উত্তরপূর্ব দিল্লিতে যখন অশান্তি, হিংসার আগুনের লেলিহান শিখা দাউদাউ জ্বলছে,তখন রঞ্জিত সিংহ চৌতালা নামে ওই মন্ত্রীকে রাজধানীর বুকে ৩৪টি প্রাণ কেড়ে নেওয়া হিংসা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দাঙ্গা তো জীবনের অঙ্গ, এমন নয় যে এই প্রথম দাঙ্গা ঘটল। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে বলা হয়েছে, দাঙ্গা ঘটেই চলে। অতীতেও ঘটেছে। যখন ইন্দিরা গাঁধী খুন হলেন, গোটা দিল্লি জ্বলছিল। এটা জীবনেরই অংশ, হয়েই চলে।


দিল্লিতে সরকার দ্রুততার সঙ্গে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলেও দাবি করেন রঞ্জিত। সেইসঙ্গে বলেন, গতকাল কার্ফু জারি হয় এইসব এলাকায়। যেহেতু এটা দিল্লির ব্যাপার ও বিচারবিভাগের এক্তিয়ারভুক্ত, আমি কোন মন্তব্য করব না।
রঞ্জিত সিরসার রানিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচিত নির্দল জনপ্রতিনিধি। তাঁকে গত বছর মনোহর লাল খট্টার মন্ত্রিসভায় সামিল করা হয়। ৯০ সদস্যের হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মেলায় জোট গড়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি।
হরিয়ানার রাজনীতিতে বড় মুখ বলে পরিচিত দেবী লালের ছেলে রঞ্জিত। দেবী লাল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল গঠন করেছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ এর মধ্যে কৃষিমন্ত্রী হন রঞ্জিত। কিন্তু নিজের ভাই ওমপ্রকাশ চৌতালার কেন্দ্র মেহামে উপনির্বাচনে হিংসা, রিগিংয়ের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধেই সরব হন। পরে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এক দশক সেখানে থাকার পর কিছুদিনের জন্য বিজেপিতে গিয়েও কংগ্রেসেই ফেরেন। তবে ২০১৯ এর ভোটে কংগ্রেস টিকিট না দেওয়ায় নির্দল হিসাবে লড়ে জেতেন রঞ্জিত।
তবে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য এই প্রথম নয়। বিদ্যুত্ মন্ত্রী হওয়ার পর রঞ্জিত প্রস্তাব দেন, যে বিদ্যুত গ্রাহকরা ইলেকট্রক বিলের টাকা দেননি, তাঁদের ছেলেমেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে দেওয়া উচিত নয়। এতে প্রবল বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।