বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: অনুমতি মিলেছে বেলুড় মঠের (Belur Math)। ৯৬ বছরে দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে প্রথমবার হচ্ছে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। প্রথম বারেই মানুষের মধ্যে মিলেছে ভাল সাড়া। ১৯২৭ সালে, দিল্লিতে পথ চলা শুরু হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশনের। কিন্তু ৯৬ বছরে, প্রথমবার দুর্গাপুজো হল এখানে।


প্রথমবার দুর্গাপুজো দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে 


এক চালার প্রতিমা। অষ্টমীতে ভক্তিভরে হল সন্ধ্যারতি। দিল্লি রামকৃষ্ণ মিশন প্রধান স্বামী সর্বলোকানন্দ জানিয়েছেন, ৯৬ বছর পর এই প্রথম দুর্গা প্রতিমার পুজো করা হচ্ছে, অনেক দিন আগে থেকেই চেষ্টা চলছিল, যে দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনের মতো সেন্টারে দুর্গাপুজো হওয়া উচিত। বিভিন্ন কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। এবছর আমরা উদ্যোগ নিলাম এবং বেলুড় মঠ থেকে অনুমতিও পেলাম। সেই জন্য এই বছর থেকে দুর্গাপ্রতিমায় পুজো করা শুরু হয়ে গেল।সাধারণ পুজো নয়, বিরাট তার আয়োজন। বিরাট ব্যায় সাপেক্ষ। অষ্টমীতে আড়ম্বরে পালিত হচ্ছে। লোক সমাগম প্রথম দিন ২৫০০, তবু অনেকে জানেন না প্রথমবার বলে। আমরা আশাও করিনি। প্রায় ৬৫০০, সবাই প্রসাদও পেয়েছে।এবছরের মতো আগামী বছরগুলিতেও এভাবে দুর্গাপুজো হোক দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে। চাইছেন ভক্তরাও।


বেলুড় মঠে ১২৩ তম দুর্গাপুজো


অপরদিকে, চলতি বছরে বেলুড় মঠে ১২৩ তম দুর্গাপুজো হচ্ছে। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। সেই থেকেই নিষ্ঠার সহিত মানা হয় বিধি। জন্মষ্টমীর দিন কাঠামো পুজো হয় বেলুড় মঠে। চলতি বছরেও তার অন্যথা হয়নি। গত ৭ সেপ্টেম্বর  শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে কাঠামো পুজো হয়েছে বরাবরের রীতি মেনেই। বেলা যত গড়াচ্ছে, মণ্ডপে মণ্ডপে তত বাড়ছে ভিড়। উৎসবে মাতোয়ারা বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতায় জনসমুদ্র। চারিদিকে আলোর রোশনাই। কোথাও থিমের চাকচিক্য, কোথাও সাবেকিয়ানা। নিষ্ঠাভরে উমা আরাধনা। শাস্ত্রমতে সপ্তমী থেকে পুজো শুরু৷ সপরিবারের মা দুর্গার পিতৃগৃহে প্রবেশ৷ সকাল থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড়৷ নতুন জামাকাপড়৷ নতুন জুতো৷ হৈ-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া৷ উত্সবের আনন্দে ভাসছে শহর। থিম, সাবেকিয়ানা, নান্দনিকতায় মিলে-মিশে উদযাপনের রঙ৷ বাঙালির সেরা উৎসব।


আরও পড়ুন, নবমীতে পেট্রোলের দর বাড়ল আগ্রায়, কী দরে বিকোচ্ছে কলকাতা ?


প্রসঙ্গত, মহাপুজোয় মশগুল মহানগর। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পায়ে পায়ে সিগন্যাল গ্রিন। ভিড়ের চাপে যতই চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা হোক কিম্বা ঘেমেনেয়ে একশা হোক গিলে করা পাঞ্জাবি, থেমে নেই প্যাণ্ডেল হপিং। আপত্তি নেই লম্বা লাইনের দীর্ঘ প্রতীক্ষায়। বছরে তো এই ক’টা মাত্র দিন। রাজপথে মানুষের ঢল। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে জনস্রোত।আলো ঝলমলে শহরে ঠাকুর দেখার ঢল। থিম, সাবেকিয়ানা মিলেমিশে একাকার উৎসবের রঙ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে সেই আমেজই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন শহরবাসী।