নয়াদিল্লি: ফের আন্দোলনে কৃষকরা (Farmers Protest in Delhi)। আগামীকাল কৃষকদের বিভিন্ন সংগঠন ‘দিল্লি চলো’র (Delhi Chalo) ডাক দিয়েছে। জড়ো হতে শুরু করেছেন কৃষকরা। অশান্তি এড়াতে হরিয়ানা ও দিল্লিতে (Security at Delhi) নিরাপত্তার বেড়াজাল। ব্যারিকেড বসিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে একাধিক রাস্তা। কোথাও কোথাও রাস্তায় পেরেক পোঁতা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। দিল্লি ও হরিয়ানা (Haryana Border) সীমানায় নিরাপত্তাও আঁটসাঁট করা হয়েছে। আলোচনার জন্য আজ কৃষক নেতাদের ডেকেছে কেন্দ্র। চণ্ডীগড়ে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা, পীযূষ গোয়েল, নিত্যানন্দ রাই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে চলেছে দিল্লি সীমানা? ১৩ ফেব্রুয়ারির কৃষক মিছিলের (Farmers Rally) জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়েছে দিল্লি। রবিবার থেকেই উত্তর-পূর্ব দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি সীমানায় ১৪৪ ধারা (CRPC 144) জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে তার জন্য এমন ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে রাজধানী এলাকার শাহহাদারা এবং গাঁধীনগর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১১ মার্চ পর্যন্ত বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ANI সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রাক্টর, ট্রলি, বাস, ট্রাক, বাণিজ্যিক গাড়ি, ব্য়ক্তিগত গাড়ি বা ঘোড়াতে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি নেই। পাশাপাশি কোনও আন্দোলনকারী তার সঙ্গে কোনও রকম অস্ত্র রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে , তরবারি, ত্রিশূল, বর্ষা, লাঠি বা রডজাতীয় অস্ত্রও। দিল্লি পুলিশ কমিশনার টিকরি, সিঙ্ঘু এবং গাজিপুর সীমানা পরিদর্শন করে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। অম্বালা, জিন্দ, ফতেহাবাদে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তেও চলছে নজরদারি।
একাধিক কৃষক সংগঠন একসঙ্গে 'দিল্লি চলো' যাত্রা ঘোষণা করার পরেই নিরাপত্তা (Security at Delhi borders) নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কেন এই মিছিল? কৃষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষিপণ্য়ে সহায়ক মূল্য় (MSP) নিয়ে আলাদা আইন তৈরি করা এবং এর আগের আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলা তুলে নেওয়ার দাবি রয়েছে তাঁদের। এছাড়াও, স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব কার্যকর করা, কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের পেনশনের ব্যবস্থা, কৃষিঋণ মকুবের দাবিও রয়েছে।