নয়াদিল্লি: ফাঁসির সম্ভবত দেরি নেই। তিহাড় জেলে বন্দি নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ অপরাধী তীব্র হতাশায় ভুগছে। খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিয়েছে তারা। যাতে তারা নিজেদের কোনও ক্ষতি না করে ফেলে সে জন্য অক্ষয়, মুকেশ, পবন গুপ্ত ও বিনয় শর্মার সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে ৪-৫ জন পুলিশকর্মী। চলছে সিসিটিভির নজরদারি।


তিহাড়ের প্রধান সন্দীপ গোয়েল সহ বরিষ্ঠ আধিকারিকরা গতকাল নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর যাবতীয় ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন, জানান, তাঁরা সন্তুষ্ট। কোনও খবর যাতে বাইরে না বার হয়, তা নিশ্চিত করতে তিহার জেল কর্মীদের ফোনের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। গতকাল ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ৪ অপরাধীকে বিচারকের সামনে পেশ করা হয়, সেখানে যাচাই করা হয় তাদের পরিচয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য তামিলনাড়ু স্পেশাল পুলিশের জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে, প্রত্যেক অপরাধীর জন্য রয়েছেন একজন করে জেলকর্মী। নির্ভয়ার মা জানিয়েছেন, তিনি চান, ১৬ তারিখের আগে অপরাধীদের ফাঁসি হোক। শীর্ষ আদালত মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সত্ত্বেও এখনও তাদের বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে কেন, প্রশ্ন করেছেন তিনি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও বলেছেন, নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসি দেওয়া উচিত। এ মাসের শুরুতে এক অপরাধীর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করার সুপারিশ করে দিল্লি সরকার। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে নির্ভয়া মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। সেদিন বেলা দুটোয় হবে শুনানি।

শোনা যাচ্ছে, ৪ অপরাধীর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে জেল প্রশাসন। চারজনের মধ্যে ৩ জন বন্দি ২ নম্বর জেলে, ১ জন রয়েছে ৪ নম্বরে। কাউকে এখনও পর্যন্ত ৩ নম্বর জেলের ফাঁসিঘরের পাশে তৈরি কালকুঠুরিতে পাঠানো হয়নি। এক অপরাধী নাকি জানিয়েছে, তার ভাল ঘুম হচ্ছে না। কুসংস্কারের জেরে জেলকর্মীরা নাকি মাঝেমধ্যেই ফাঁসির মঞ্চের ছোট ছোট কাঠ ভেঙে বাড়ি নিয়ে যান। তাই এবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে ফাঁসির মঞ্চ।