নয়াদিল্লি: দূষণ রোধে কৃত্রিম বৃষ্টির পরিকল্পনা। যার ব্যয়ভার বহন করবে দিল্লি সরকার (Delhi Government)। সূত্রের খবর, আগামী কাল সুপ্রিম কোর্টে সংশ্লিষ্ট বিষয় জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকে। কেন্দ্র সহযোগিতা করলে ২০ নভেম্বরের মধ্যে কৃত্রিম বৃষ্টির বন্দোবস্ত করা সম্ভব হবে।


দিল্লি সরকারের তরফে এদিন সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়েছে, “কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য ব্যয় করতে রাজি সরকার। যদি কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করে, তবে ২০ নভেম্বরের মধ্যে তা করা সম্ভব।’’ বায়ু দূষণ রোধে কৃত্রিম বৃষ্টি দুই-পর্যায়ের সমীক্ষায় সরকারের প্রায় ১৩ কোটি টাকা খরচ হবে। পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই কৃত্রিম বৃষ্টির বিষয়ে মুখ্য সচিব নরেশ কুমারকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইআইটি কানপুরের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি আগামীকাল শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুমতিও নিতে বলা হয়েছে। যাতে ২০-২১ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে এই কাজ শুরু করা যায়।


দূষণে জেরবার রাজধানী। পরিস্থিতি মোকবিলায় আগেই বিকল্প ভাবনা ভেবেছিল সরকার। গতকাল আইআইটি কানপুরের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেন দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই। বৈঠক সেরে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর ঘোষণা করেন গোপাল। তিনি জানান, বাতাসের ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা নামিয়ে আনতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকলে ২০ থেকে ২১ নভেম্বর দিল্লির বুকে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন গোপাল। তিনি জানিয়েছিলেন, "আইআইটি কানপুরের অনুমান, ২০ এবং ২১ নভেম্বর দিল্লির আকাশ মেঘলাই থাকবে। সেকথা মাথায় রেখেই কালকের মধ্যে প্রস্তাব পাঠাতে বলেছি। সেটি আদালতে জমা দেওয়া হবে। ২০ এবং ২১ নভেম্বর আকাশ মেঘলা থাকলে, সব তরফ থেকে অনুমোদন মিললে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হবে।" 


উৎসবের মরশুমে রীতিমতো ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে দূষণ। দেশের রাজধানী দিল্লি তো বটেই অন্যান্য রাজ্যেও ছবিটা খুব আলাদা। যার মধ্যে অন্যতম বাণিজ্য নগরী মুম্বই। আর তাই দূষণ রোধে এবার ময়দানে নামল মহারাষ্ট্র প্রশাসন।  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, "মুম্বই সহ সারা রাজ্যেই বাড়ছে দূষণের মাত্রা। মুম্বই কমিশনার, পরিবেশ দফতরের প্রধান সহ অন্যান্য কর্তাদের নিয়ে এদিন বৈঠক করেছি। যেখানে মূলত আলোচ্য বিষয় ছিল দূষণ রোধ। মুম্বই কমিশনারকে লোকবল বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ধুলো এবং আবর্জনা মুক্ত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধুলো যাতে না ওড়ে তার জন্য মুম্বইয়ের সমস্ত রাস্তা জল দিয়ে ধুতে বলা হয়েছে প্রতিদিন। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কাজে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতেও অনুরোধ করছি। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে পরিবেশ দফতর।''


আরও পড়ুন: Plaque Controversy: ফলক-বিতর্কে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যকে পুলিশের নোটিস