নয়াদিল্লি: ৬ দিন ধরে নিখোঁজের পর অবশেষে স্নেহা দেবনাথের খোঁজ মিলল। তবে জীবিত নয়। মৃত অবস্থায়। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রে খবর, পড়াশোনার জন্যই, পরিবার ছেড়ে এসে দেশের রাজধানীতে বসবাস শুরু করেছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত আত্মরাম সনাতন ধর্ম কলেজের ছাত্রী স্নেহা। কিন্তু সেটাই কি কাল হল ? পূর্ব দিল্লির গীতা কলোনীর কাছে যমুনা নদীর ধারে বছর ১৯ এর স্নেহার দেহ পাওয়া গিয়েছে। 

আরও পড়ুন, ওড়িশার কলেজে 'হেনস্থা', ক্যাম্পাসে গায়ে আগুন দিয়ে আশঙ্কাজনক ছাত্রী ! আক্রমণ TMC-র 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও স্লোগান আসলে প্রহসন..'

দিল্লির পড়ুয়া স্নেহার খোঁজ না মেলায়, সম্প্রতি মেহেরাউলি পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজের ডাইরি করা হয়েছিল। স্নেহার হাতে একটি চিরকুট মিলেছে। যেখানে যমুনা নদীর উপরে সিগনেচার ব্রিজ থেকে লাফ দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে যে ক্যাব ড্রাইভার স্নেহাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁর দাবি একজন মহিলাকে ওই ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন। পরে তাঁকে আর দেখতে পাননি। পুলিশ সূত্রে খবর, নিখোঁজের ঠিক ৬ দিন পর, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়ার দেহ, গীতা কলোনীর ফ্লাইওভারের ভিতরে নদীতে ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে দেহ দেখে স্নেহাকে চিহ্নিত করে পরিবার।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৭ জুলাই স্নেহা , তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বার্তা পাঠিয়েছিল মেইল এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস মারফত। তদন্তকারীদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানিয়েছেন, স্নেহা গত কয়েক মাস ধরেই চিন্তামগ্ন ছিল। স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এনিয়ে তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা প্রত্যেকেই স্নেহার পাশে থাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

মূলত বছর ১৯ এর স্নেহা দেবনাথ হল দক্ষিণ ত্রিপুরার বাসিন্দা। পড়াশোনার সূত্রে দিল্লিতে বসবাসকালীন আচমকাই গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল স্নেহা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই ঘটনায় পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন। সোশ্যালে অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্র জানায় যে, দিল্লিতে নিখোঁজ হওয়া স্নেহা দেবনাথের ঘটনাটি তাঁদের নজরে এসেছে। এবং এই ঘটনায় পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে, ৭ জুলাই স্নেহার সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল পরিবারের। পরিবার সূত্রে খবর, স্নেহা তাঁর মার সঙ্গে ওই দিন শেষবার কথা বলেছিল সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে। সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ থেকে তার ফোন বন্ধ আসে।