নয়া দিল্লি : কৃষক আন্দোলন চলাকালীন ভারতে গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সে দেশের সেনেটর। এবার আমেরিকার সামনেই ভারতের গণতান্ত্রিক চেতনা এবং অখণ্ডতাকে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়ে দিলেন, কয়েক শতাব্দীর ঔপনিবেশিক শাসনও ভারতীয়দের গণতান্ত্রিক চেতনাবোধকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে তাই গর্ববোধ করেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ওপর নেমে আসা বিপদ নিয়ে শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিশেষ গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাতে নেতৃত্ব দেন। অংশ নেন ১০০-র বেশি বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতা। সেখানেই ঔপনিবেশিক শাসন থেকে শৃঙ্খলমুক্ত, বিগত ৭৫ বছরের ভারতকে তুলে ধরেন মোদি।
ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে এদিন মোদি বলেন, ‘‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্ববোধ করছি। গণতান্ত্রিক চেতনা আমাদের সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কয়েক শতাব্দীর ঔপনিবেশিক শাসনও ভারতীয়দের গণতান্ত্রিক চেতনা দমাতে পারেনি। স্বাধীনতার পর বিগত ৭৫ বছর ধরে তিলে তিলে এই গণতন্ত্র গড়ে ওঠার কাহিনি তুলনারহিত। এ এক অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক সার্বিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং বিরামহীন উৎকর্ষসাধনের কাহিনি।’’
সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন গণতন্ত্রের ভিত্তি বলেও এদিন মন্তব্য করেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু মানুষকে নিয়ে, বা মানুষের দ্বারা অথবা মানুষের জন্য গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা নয়, গণতন্ত্র আসলে মানুষের মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে। গণতন্ত্রই শেষ কথা, ভারত তা বুঝিয়ে দিয়েছে। তার জন্য সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। অন্যদের সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারলে খুশিই হবে ভারত।’’ গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় উন্নত প্রযুক্তি, নেটমাধ্যম এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের পক্ষেও সওয়াল করেন মোদি।
আমেরিকার নেতৃত্বে এই প্রথম বিশ্ব গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজিত হল। তাতে ভারত যেমন আমন্ত্রিত ছিল, তেমনই পূর্ণ রাষ্ট্রের মর্যাদা না পাওয়া তাইওয়ান এবং কসোভোও আমন্ত্রিত ছিল। তবে চিন এবং রাশিয়া সম্মেলনে অংশ নেয়নি।