নয়াদিল্লি  : নোটবন্দি ( Demonetisation ) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের ( Supreme Court ) ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিল, 'এ নিয়ে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে কোনও ত্রুটি নেই' !



২০১৬-র ৮ নভেম্বর নোটবন্দি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। ৫০০ টাকা ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই জানালেন, 'যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা আরবিআই ও কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে' ।  কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেন চার বিচারপতি, বিরুদ্ধে মত দেন এক জন। একজন বিচারক ভিন্নমত পোষণ করে এই পদক্ষেপকে "অবৈধ" বলে অভিহিত করেছেন।


রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে ৬ মাস ধরে আলোচনা করেই কেন্দ্র নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই বিষয়ে একটি "অন্তর্নির্মিত সুরক্ষা" (inbuilt safeguard) রয়েছে। কোর্ট আরও বলে, নোটবন্দির উদ্দেশ্যটি  সাধিত হয়েছিল কিনা তা "প্রাসঙ্গিক নয়"। নিষিদ্ধ নোটগুলি পরিবর্তন করার জন্য দেওয়া ৫২ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। সেটা অযৌক্তিক বলা যায় না।                          

আরও পড়ুন : 


'দুয়ারে সরকার'-র পর ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের নয়া প্রকল্প, কী সুবিধে মিলবে


 সুপ্রিম কোর্টে নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ৫৮টি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। মামলাকারীদের দাবি ছিল, সরকার সঠিক পরিকল্পনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। লক্ষ লক্ষ নাগরিকদের যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়েছিল এর ফলে।  যারা নগদ অর্থের জন্য লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিল তাদের দুর্দশার কথা বলে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।  আদালত জানায়, এইভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল সম্ভব নয়। 


বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি বিআর গাভাই, বিভি নাগারথনা, এএস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম। এর মধ্যে একজনই এই সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিলেন। 


২০১৬ সালের কেন্দ্রের এই হঠাৎ করে জানানো সিদ্ধান্তের পিছে যুক্তি ছিল, কালো টাকার রমরমা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের তরফে দাবি ছিল, এই নোটবন্দির ফলে পুরনো নোট যাঁরা জমিয়ে রেখেছে তারা বিপদে পড়বে। সেই বদল করলে কালো টাকা রাখা ব্যক্তিরা রাতারাতি মুশকিলে পড়বে। এর মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতিতে  আচ্ছে দিন আসবে।