শিলং: স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) জনসভা (Rally) জন্য অনুমতি দিল না মেঘালয় (Meghalaya Sports Department) প্রশাসন। নির্দিষ্ট করে বললে, নির্মাণকাজের যুক্তিতে পিএ সাংমা স্টেডিয়ামে (PA Sangma Stadium) প্রধানমন্ত্রীর সভার অনুমতি দেয়নি মেঘালয়ের ক্রীড়া দফতর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমার নির্বাচনী কেন্দ্র দক্ষিণ তুরাতেই এই স্টেডিয়াম। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সভার অনুমতি না মেলায় ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি।
ক্ষুব্ধ বিজেপি...
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শিলং ও তুরা-য় জনসভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। অনুমতি না মেলায় অসন্তোষের আগুন জ্বলেছে বিজেপি শিবিরে। অভিযোগ, ওই রাজ্যের শাসকদল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী শক্তি মিলে মেঘালয়ে 'গেরুয়া ঝড়' আটকাতেই এমন করেছে। এদিকে জেলা নির্বাচন আধিকারিক সংবাদংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'এমন একটি স্টেডিয়াম যেখানে এখনও নির্মাণকাজ চলছে এবং সেজন্য বিপুল উপকরণ জড়ো করে রাখা রয়েছে, সেখানে এতো বড় জনসভা আয়োজন করা নিরাপদ হবে না বলে জানিয়েছে ক্রীড়া দফতর। সে জন্যই বিকল্প একটি জায়গা, Alotgre cricket stadium-র কথা ভাবা হচ্ছে।' প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরেই পিএ সাংমা স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেছিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। সেটি বানাতে ১২৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। সেই স্টেডিয়ামেই প্রধানমন্ত্রীর জনসভা অনুমতি না মেলায় বিজেপির ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি ঋতুরাজ সিনহা 'বিস্মিত।' তাঁর প্রশ্ন, উদ্বোধনের মাত্র দুমাসের মধ্যেই কী করে জায়গাটি জনসভার জন্য 'অনুপযুক্ত' হয়ে ওঠে?
কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের...
ঋতুরাজের প্রশ্ন, 'মুকুল সাংমা এবং কনরাড সাংমা কি আমাদের ভয় পাচ্ছেন? ওঁরা মেঘালয়ে বিজেপি-ঝড় আটকাতে চাইছেন। আপনার প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আটকাতে পারেন, কিন্তু রাজ্যের মানুষ তাতে মনস্থির করে ফেলেছেন।' বিজেপির দাবি, যে ভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের অন্য় তারকা প্রচারকদের জনসভায় বিপুল ভিড় হয়েছিল তাতেই বাকি দলগুলি ভয় পেয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়েই এই অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে তাতেও যে কিছুই হবে না সে নিয়ে নিশ্চিত গেরুয়া শিবির। সে সঙ্গেই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা অল লেক জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ২৪ ফেব্রুয়ারিই শিলংয়ের পিনথোরামক্রাহ নির্বাচনী কেন্দ্রে বিশাল রোড শো করবেন। সব মিলিয়ে তোড়জোড় তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট মেঘালয়ে। ৬০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে এবার প্রার্থীসংখ্যা ৩৭৫। সরকার গড়ার জন্য ৩১টি আসন প্রয়োজন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৯টি, কংগ্রেস ২১টি এবং বিজেপি ২টি আসন জিতেছিল। ইউডিপি জেতে ৬টি আসনে। কংগ্রেস বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও বিজেপি, ইউডিপি-সহ দলগুলিকে নিয়ে ক্ষমতায় আসে এনপিপি। তবে এইবার তারা একসঙ্গে লড়ছে না। অন্য দিকে শক্তি বৃদ্ধি করতে মরিয়া তৃণমূলও। কোথায় দাঁড়াবে এই লড়াই? আর কয়েক দিনের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন:কেন্দ্রের টাকা অপব্যবহার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের