বীরভূম: বীরভূমে, (Birbhum) শোনা যেত একটা সময়, তাঁর কথা ছাড়া একটা পাতাও নড়ে না। তবে তিনি জেলে যাওয়ার পর ইতিমধ্যেই বদল হয়েছে একাধিক দৃশ্য।। বীরভূমে, মমতার প্রশাসনিক সভার আগে গোটা জেলায় যখন ছেয়েছে ব্যানারে। অথচ প্রচারের সেই ব্যানারে ব্রাত্য ছিলেন অনুব্রত মন্ডল। যদিও অনুব্রতই যখন গ্রেফতার হন, তখন প্রকাশ্যে তার পাশে থাকার কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারির পর ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে অনেক জল। গ্রেফতারির আগের সেই ছবিও বদলেছে। একাধিকবার জেরা, হাজিরার পর বদলেছে প্রেক্ষাপট। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, জানা গিয়েছে, ছয় মাসে ২৪ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রতর (Anubrata Mandal)।
ফের ওজন কমেছে অনুব্রতর
উল্লেখ্য, ছয় মাসে ২৪ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রতর। শেষ তিন মাসে কমেছে নয় কেজি। তবে এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, শরীর ভাল নেই তাঁর। সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আসানসোল জেল থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। প্রসঙ্গত, খাতায় কলমে এখনও তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতি (TMC)। কিছু দিন আগে পর্যন্ত তাঁর প্রতি রক্ষণাত্মক অবস্থান ছিল সকলের। কিন্তু দলনেত্রীর বীরভূম সফরে , প্রচারের জন্য় যে পোস্টার, প্ল্য়াকার্ড, তোরণ, ফেস্টুন করা হয়েছিল, সেখানে কোথাও উল্লেখ পর্যন্ত নেই অনুব্রত-র ছবি। তার পরিবর্তে বরং জায়গা পেয়েছ, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরীদের ছবি। এ যেন ঘরের মাঠে, বড় ম্য়াচ ঘরের ছেলে ছাড়াই। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম বার বীরভূম সফরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সেখানে বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন, দলের প্রচারে ধরা পড়েছে সম্পূর্ণ এক অচেনা ছবি।
আরও পড়ুন, 'DA বাড়বে না', বিস্ফোরক মন্তব্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের
নিজের জেলায় ব্রাত্য অনুব্রত
তৃণমূলের তৈরি করা বিভিন্ন গেট ও অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুনে কোথাও দেখা নেই অনুব্রতর ছবির। জেলায় যখন হইহই রইরই, সেই সময় মমতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিমের পাশে জেলার দুই বিধায়ক চন্দ্রনাথ এবং বিকাশের ছবিও চোখে পড়ে। কিন্তু এ যাবৎ বীরভূমে মমতার স্নেহভাজন এবং বিশ্বস্ত সেনাপতি অনুব্রতর ছবি কার্যতই উধাও ছিল। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মমতার সফরের সময় অনুব্রতর কোনও ছবি কোথাও ব্যবহার করা হবে না। যদিও এ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতা ফিরহাদ বলেন, 'ও আসেনি বলে ছবি নেই। ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে ওকে। আইন আইনের পথে চলবে। অনুব্রতকে নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। দিদি শুধু জানতে চাইলেন, ওর মেয়ে কেমন আছেন।'