নয়া দিল্লি: সাম্প্রতিক সময়ে ফণী, ইয়াস, আম্ফানের বিভীষিকা দেখেছে ভারতের (India) পূর্ব উপকূল। একমাস আগেই ঘূর্ণিঝড় মোকা-র (Cyclone Mocha) পরোক্ষ প্রভাব দেখেছে বাংলা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclonic Storm) চরম সতর্কবার্তা জারি করল মৌসম ভবন (IMD)।


কোন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে? 


মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে চলেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সেই নিম্নচাপই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যদিও এই ঘূর্ণিঝরের যাত্রাপথ এখনই পরিষ্কার নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, এটি ভারতের পশ্চিম উপকূল ধরেই এগোবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে- 'বিপর্যয়'। এটি এই মরসুমের আরব সাগরে তৈরি হওয়া কোনও প্রথম ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে। 


এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পশ্চিম ভারতের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ এবং প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে এর জেরে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে, এমনটাই বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। 


এই ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম কেন? 


দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'বিপর্যয়' রেখেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের মৌসম সংস্থা সাধারণত বর্ণক্রম অনুযায়ী নাম রেখে থাকে। এই নাম দেয় সেই সংস্থায় সদস্য দেশের তরফেই দেওয়া হয়ে থাকে।                                    


বর্তমান এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃতি এবং যাত্রাপথের ওপর নিবীড় দৃষ্টি রেখেছে মৌসম ভবন। সেই মতো নির্দেশিকাও জারি করবে তারা, এমনটাই জানান হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতের পশ্চিম উপকূলের বাসিন্দাদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। এই সাইক্লোন অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে বন্যারও আশঙ্কাও রয়েছে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।   


মৌসম ভবনের তরফে একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, 'দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ১১.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৬৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ তৈরি হয়েছে এই সাইক্লোন। বর্তমানে এটি গোয়া থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে, মুম্বই থেকে এর অবস্থান ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। ১২ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপ ক্রমশ ঘনীভূত হবে।' 


 


আরও পড়ুন, এক কেজি মধুর দাম গাড়ির দামের সমান! বিশ্বের সবচেয়ে দামি মধু পাওয়া যায় কোন দেশে?