নয়াদিল্লি: লোকসভার স্পিকার নির্বাচন ঘিরে কম টানাপোড়েন হয়নি। ডেপুটি স্পিকার কে হবেন, সেই নিয়েও চলছে কাটাছেঁড়া। সেই আবহেই, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ, অযোধ্য়ায় যিনি বিজেপি-কে হারিয়েছেন, সেই অওধেশ প্রসাদকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের সুপারিশ করল তৃণমূল। এবছর লোকসভা নির্বাচনে ফৈজাবাদ থেকে জয়ী হয়েছেন অওধেশ, যার মধ্যে পড়ে অযোধ্যাও, যেখানে নবনির্মিত রামমন্দিরটি রয়েছে। (Deputy Speaker Election)


ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের দিন ক্ষণ এখনও জানায়নি কেন্দ্র। এর আগে, ১৭তম লোকসভায় কোনও ডেপুটি স্পিকারই ছিলেন না। এবছর সংখ্যা বাড়িয়ে এসে বিরোধীরা গোড়া থেকেই ডেপুটি স্পিকার পদটির জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। এমনকি ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধীদের ছাড়া হলে তবেই সর্বসম্মতিতে স্পিকার নির্বাচন হবে বলেও জানান তাঁরা। কিন্তু সরকার সেই নিয়ে আগাম কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হয়নি। যে কারণে বহু বছর আবারও স্পিকার নির্বাচন হয়, যাতে বিরোধীরাও প্রার্থীকে মনোনীত করেন। (Awadhesh Prasad)


তাই এই মুহূর্তে ডেপুটি স্পিকার পদটির দিকে তাকিয়ে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই। সেই আবহেই রবিবার কেন্দ্রের কাছে অওধেশকে ডেপুটি স্পিকার করার আর্জি জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির। অন্য দলগুলির তরফে এখনও সেই নিয়ে কিছু মন্তব্য করা হয়নি। তবে অওধেশের নাম প্রস্তাবে কারও আপত্তি নেই বলেই শোনা যাচ্ছে। বলিষ্ঠ রাজনীতিক হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন অওধেশ। ফৈজাবাদ থেকে জেতায় রাজনৈতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে তাঁর। দিল্লির একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলিত সম্প্রদায়ের নেতা অওধেশের নাম প্রস্তাব করেছন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: Kedarnath Avalanche: জটার আকারেই নেমে এল পাহাড় থেকে, সাতসকালে তুষারধস কেদারধামে


এবছর ফৈজাবাদে বিজেপি-র লাল্লু সিংহকে ৫০ হাজার ভোটে হারিয়েছেন অওধেশ। অওধেশের জয় যেমন বিরোধীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, তেমনই বিজেপি-র উপর চাপ বেড়েছে। কারণ নির্বাচনী প্রচারে বার বার রামমন্দির নির্মাণের কৃতিত্ব দাবি করতে দেখা গিয়েছিল দলের নেতা-নেত্রীদের। সেই অওধেশকেই এবার লোকসভার ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের সুপারিশ করল তৃণমূল। 


সংসদের ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতা স্পিকারেরই সমান। পরিবারে কারও মৃত্যু, অসুস্থতা বা অন্য কোনও কারণে যদি স্পিকার লোকসভায় অনুপস্থিত থাকেন, সেই সময় লোকসভা চালানোর দায়িত্ব গিয়ে পড়ে ডেপুটি স্পিকারের উপরই। সংসদীয় নীতি অনুযায়ী স্পিকার নির্বাচিত হন শাসকদল থেকে, ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন বিরোধী দল থেকে, যাতে গণতন্ত্রে ভারসাম্য বজায় থাকে।