পার্থপ্রতিম ঘোষ, উত্তরকাশী: সুড়ঙ্গে মুক্তির (Uttarkashi Tunnel Rescue Success) আলো, প্রথম ধাপে উত্তরকাশীর টানেল থেকে বের করা হল ২ শ্রমিককে (First 2 Laborers Rescued In Uttarkashi)।  সুড়ঙ্গ থেকে যে ২ শ্রমিক প্রথম উদ্ধার হন, তাঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। নাম বিজয় হোরো এবং গণপতি হোরো। একটু পরে খবর আসে ২০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। দেখতে দেখতে বাড়তে থাকা উদ্ধার হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা। প্রথম দফায় যে ২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছিল, তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে বলে খবর। টানেলের সামনেই তৈরি অ্যাম্বুল্যান্স। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে স্থানীয় হাসপাতালে। সঙ্কটজনক শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে হৃষিকেশ এইমসে। আধ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ে উদ্ধার হন ৪১ জন শ্রমিকই।


বাড়ছে সংখ্যা...
সকাল থেকেই সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল উত্তরকাশীর সিল্কয়ারায়। অপেক্ষায় প্রহর গুণছিলেন আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিজনেরা, দাঁত দিয়ে নখ কেটেছেন দেশের বহু মানুষ। আর কতক্ষণ? সন্ধে আটটা নাগাদ টেলিভিশনের পর্দায় ফুটে ওঠে খবর। প্রথম দু'জন শ্রমিককে উদ্ধার করা গিয়েছে। বিজয় হোরো এবং গণপতি হোরোর উদ্ধারের খবরে আশার আলো ছড়িয়ে পড়ে প্রায় গোটা দেশে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা। কিছুক্ষণের মধ্যে সংখ্যাটা পৌঁছে যায় ১০, তার পর ১৫, তার পর ১৭-য়। আধ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ের মধ্যে উদ্ধার হন ৪১ জনই। উদ্ধার হওয়ার পরই ডাক্তাররা তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে, খতিয়ে দেখা যাচ্ছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যও। প্রয়োজন বুঝে তাঁদের হয় আলাদা অ্যাম্বুল্যান্স বা একই অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে। শ্রমিকরা বাইরে আসতেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি।  


আর যা...
১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের অন্ধকারে আটকে ছিলেন ওই ৪১ জন। এমন অবস্থায় তাঁদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কী রকম, কারও অবস্থা সঙ্কটজনক কিনা সেটা যাচাই করে দেখা দরকার সর্বাগ্রে। তাই মেডিক্যাল টিম উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের আগেই  স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার পর গ্রিন করিডোর করে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের। তবে আপাতত স্বস্তি আর খুশির মেজাজ আশপাশে। উদ্ধারের অপেক্ষা বাকিদের। 


আরও পড়ুন:আধ ঘণ্টায় সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হল ২০ জন শ্রমিককে