ধানবাদ: জামা খুলিয়ে স্কুল থেকে ছাত্রীদের বাড়ি পাঠানোর অভিযোগ। কাঠগড়ায় বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিভাবকরা। ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষও। অধ্যক্ষের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। (Dhanbad School Principal)
ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে একটি বেসরকারি স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। সেই নিয়ে শুক্রবার অভিযোগ দায়ের হয় জোড়াপুকুর থানা। ধানবাদের ডেপুটি কমিশনার মাধবী মিশ্র জানিয়েছেন, ছাত্রীদের অভিভাবকরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষও খতিয়ে দেখছে বিষয়টি। (Jharkhand News)
ধানবাদের নামী বেসরকারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। স্কুলে দশম শ্রেণির পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার শেষ দিন আনন্দে মেতে ওঠেন ছাত্রীরা। পরীক্ষা শেষের আনন্দে পরস্পরের শার্টে মজার বার্তা লেখেন তাঁরা। কিন্তু ছাত্রীদের শার্টে পেন দিয়ে লিখতে দেখে না কি চটে যান অধ্যক্ষ। অভিযোগ প্রায় ১০০ ছাত্রীকে শার্ট খুলতে বাধ্য করেন তিনি। টেনেটুনে ব্লেজারে শরীর ঢেকে কোনও রকমে বাড়ি ফেরেন ওই ছাত্রীরা।
ওই অবস্থায় মেয়েদের বাড়ি ফিরতে দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান অভিভাবকরা। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সঙ্গে সঙ্গেই অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ছাত্রীরা। কিন্তু তাতেও মন গলেনি তাঁর। বরং শার্ট কেড়ে নেন তিনি। শুধুমাত্র ব্লেজার গায়ে চাপিয়ে ছাত্রীদের বাড়ি ফিরতে বাধ্য করেন। ঘটনাটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিভাবকদের অনেকেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার শিকার ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারাও তদন্ত শুরু করেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে তার জন্য। সেই কমিটিতে রয়েছেন মহকুমা শাসক, জেলা শিক্ষা অধিকর্তা, জেলার সমাজ কল্যাণ আধিকারিক এবংএকজন পুলিশ আধিকারিক। কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট এলে, সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
ঝরিয়ার বিধায়ক রাগিনী সিংহ অভিভাবকদের সঙ্গে থানায় গিয়েছিলেন। ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক এবং লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ুয়াদের কিছু বক্তব্য সামনে এসেছে, যা দেখে নেটিজেনরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এমন ঘটনা মোটেই কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন।