কলকাতা : ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে রাজনৈতিক তরজা। মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের তৃণমূল-যোগের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ ওড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।


দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে ফেসবুকে চাঞ্চল্যকর পোস্ট করেন দিলীপ ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, "দেবাঞ্জন দেব দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের তথ্য প্রযুক্তি সেলের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর পেয়েছি। সংগঠন থেকে সরকার সব জায়গায় জড়িত ছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ নেতারা জানতেন। তাঁরা জানতেন বলেই এতদিন তিনি এসব করতে পেরেছেন।"


যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদন কুণাল ঘোষ বলেন, "দিলীপ ঘোষ অবান্তর কথা বলছেন। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও পদাধিকারী অথবা সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই। ওই ব্যক্তি বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছেন দিলীপ ঘোষ। সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তকে বিরোধী দলনেতা করেছে বিজেপি। তিনি ত্রিপল চুরিতেও অভিযুক্ত। সারদা মামলাতেও অভিযুক্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য তিনি বিজেপিতে গিয়েছেন। কাল শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন কুণাল ঘোষ জেল খেটেছিলেন। যে অমিত শাহের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় নির্লজ্জ বেহায়া শুভেন্দু এই কথা বলেছেন সেই অমিত শাহ নিজে জেলে ছিলেন। জেল খাটা আসামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই কথা বলছেন শুভেন্দু। দেবাঞ্জনকে জড়িয়ে তৃণমূলকে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ক্ষমতা থাকলে আগে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির ব্যবস্থা করুন।"


প্রসঙ্গত, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারির পর প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কখনো ভুয়ো আইএএসের পরিচয়ে তো কখনও অন্য পরিচয়ে একের পর এক সুবিধা নিয়েছে দেবাঞ্জন। এদিকে এই ঘটনায় গতকাল রাতেই দেবাঞ্জনের নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য ওরফে মিঠুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে গত চারদিন ধরে দফায় দফায় লালবাজারে ডেকে অরবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ।