কলকাতা : পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন। সেই জন বার্লারই এবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে গতকালই বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এছাড়া চর্চা শুরু হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার প্রসঙ্গ নিয়েও। এনিয়ে আজ পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


বাবুল সুপ্রিয়ের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ এবং সেপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন তো পাত্তা দেননি, তিনি আর তাঁর লোকেরা কত কী বলেছেন! মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ায় বোধহয় উনি হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।"


তিনি যোগ করেন, “নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় কেন বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি তাই নিয়ে কি তৃণমূল ধর্না দেবে? এর পর তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, সব ব্যাপারে চিন্তা কেন? ভ্যাকসিনের ব্যাপারটা আগে ঠিক করুন। মানুষ খেতে পাচ্ছে না সেটা দেখুন, আইনশৃঙ্খলা নেই সেটা দেখুন। মোদিজি আছেন, তিনি সব ঠিকঠাক দেখবেন। আমাদের জন্য ৪ জন নতুন মন্ত্রী হওয়া খুব ভাল কথা। বিজেপিতে যোগ্য লোক যোগ্য দায়িত্ব পায়। নতুন যুবদের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংগঠনে ও নিষ্ঠাবান পরিশ্রমীদের সামনে জায়গা দেওয়া হয় । আগামী দিনেও সেটা হবে।


বাংলার এতদিনের দুই প্রতিমন্ত্রীকেই ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হলেও, মোদি মন্ত্রিসভায় একধাক্কায় দ্বিগুণ হয়েছে বাংলার প্রতিনিধিত্ব। শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক ও সুভাষ সরকার স্থান পেয়েছেন নবগঠিত মন্ত্রিসভায়। অবশ্য এবারও মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় কোনও পূর্ণমন্ত্রী পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার চার সাংসদই প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। 


এই ইস্যুতে তৃণমূল নেতা-সাংসদদের কটাক্ষেরই পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পাশাপাশি দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এতদিন আমরা বলতাম কাটমানি প্রসঙ্গ। অনেকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করত, এখন কোর্ট বলছে। আমার সাংসদ এলাকাতেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এসব করে। এখন সাধারণ মানুষ জনস্বার্থ মামলা করছে তাই কোর্টের মাধ্যমে সবটা প্রকাশ্যে আসছে। সরকার কতটা দুর্নীতিবাজ তা সামনে আসছে।“