কলকাতা: ‘আমি নাম করে বলছি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গুণ্ডা-মাফিয়া! ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন!’ রবিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে সাতগাছিয়ার সভা থেকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা জবাব দেওয়া ছাড়াও ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদকে এজন্য আইনি নোটিসও পাঠালেন দিলীপবাবু। মন্তব্য প্রত্যাহারের জন্য তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছে তাঁকে, নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলা হয়েছে নোটিসে।
দিলীপবাবু আজ অভিষেকের ‘গুণ্ডা-মাফিয়া’ বলে আক্রমণের জবাবে বলেন, কে গুণ্ডা সে তো পঞ্চায়েত ভোটে বোঝা গিয়েছে। উনি সাত কোটি টাকার বাড়িতে থাকেন, আমি লোকের বাড়িতে থাকি। কে মাফিয়া বোঝা যাচ্ছে। ওনার কনভয়ে ২৫টি গাড়ি থাকে। চিৎকাকর করে লাভ নেই। লোকে সব জানে। প্রাইভেট প্রর্পাটি বানানো হয়েছে। পুরো কালীঘাট ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। লোকের জমি জায়দা দখল করে বাড়ি করা হয়েছে। আর আমি হয়ে গেলাম মস্তান-মাফিয়া? সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ আমি গুণ্ডা। গুণ্ডামির দেখেছ কী? এতদিন তোমরা করেছ, এবার আমার সময় এসেছে। এবার পাহাড়-ডুয়ার্স জঙ্গলমহলে গুন্ডামির নমুনা দেখাব! সব মিলিয়ে অভিষেক-দিলীপ বাগযুদ্ধ চরমে উঠেছে।
তবে দিলীপবাবুর আইনি নোটিসকে গুরুত্ব না দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক ও তথ্যসংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন আজ বলেন, সৎ সাহস আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আইনি পথেই এর মোকাবিলা হবে, এখানে বিজেপি গুন্ডাদের আমদানি করছে, যাত্রা সিনেমায় এসব ভাল লাগে।
দিলীপবাবুকে নিশানা করে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দিলীপ গুন্ডামি করবে এটাই তো স্বাভাবিক, ও আরএসের ট্রেনিং নিত, সেখানে দাঙ্গা কীভাবে করা হয় শেখানো হয়, ছোরাখেলা, লাঠিখেলা শিখেছে, ওর মধ্যে রাজনীতি নেই গুন্ডামি আছে।
সব মিলিয়ে ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাগযুদ্ধের সঙ্গে আইনি যুদ্ধও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা।