নয়াদিল্লি: উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই আবহে এবার ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্থগিত রাখা হল। অসামরিক বিমান মন্ত্রক জানিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি রুটে বিমান পরিষেবা চালু রাখা হবে।


ফের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বাড়ছে করোনার গ্রাফ। তবে কি ফিরে এল একবছর আগের স্মৃতি? দেশের ৬ রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ বাড়েছে তাতে উঠছে এই প্রশ্ন। এই তালিকায় আছে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়, তামিলনাড়ু। আর তাই সংক্রমণ রুখতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।  


শুধু আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্থগিত রাখাই নয়, ইতিমধ্যে নতুন গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র। প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোভিড বিধি পালনে আরও কড়াকড়ি করতে হবে। দ্রুত পরীক্ষা করে করোনা রোগীকে চিহ্নিতকরণ করতে হবে। সংক্রমণের উৎস দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। আরটিপিসিআর টেস্টের সংখ্যা আরও দ্রুত বাড়াতে হবে। সংক্রমিতকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইসোলেশন। সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা ওয়েবসাইটে দিয়ে জানাতে হবে। করোনার টিকাকরণে গতি বাড়াতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।


মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে যুগ্মভাবে প্রথম স্থানে মহারাষ্ট্র ও পঞ্জাব। দুই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৬৬ জনের।  আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৬। 


এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ২৫৩।  গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২১২।  গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ৭১৫। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৯৫১।  গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ৭৮৫ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ১৮০।  দেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।  দেশে সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।