হায়দরাবাদ: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়তে চায় না চিত্র পরিচালক রামগোপাল ভার্মার।হায়দরাবাদে মাস কয়েক আগে এক মহিলা পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ, খুন এবং পরে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে ধর্ষকদের সকলের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রামগোপাল তৈরি করেছেন তাঁর নতুন ছবি দিশা এনকাউন্টার। আর সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। নির্যাতিতার পরিবার তেলঙ্গানা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে, ছবিটির মুক্তি যেন আটকানো হয়। পরিবারের বক্তব্য, ঘটনাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন, তদন্ত চলছে, তাই এটা নিয়ে এখনই ছবি বানানো অনুচিত। ছবিটির মুক্তি আটকাতে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের (সিবিএফসি) কাছেও আবেদন জানিয়েছে পরিবার।


ভয়াবহ ঘটনাটির দিকে একবার ফিরে তাকানো যেতে পারে। হায়দরাবাদের সামসাবাদের কল্লুরু গ্রামের একটি পশু-হাসপাতালে কাজ করতেন ওই তরুণী চিকিত্সক। তদন্তে পুলিশ জানতে ঘটনার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে প্রথমে গোচিবাওলিতে এক চর্মচিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের স্কুটারটি সামসাবাদ টোল প্লাজার কাছে রেখে ট্যাক্সি নিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি দেখা করতে যান। ফিরে এসে দেখেন, স্কুটারের পিছনের চাকাটি পাংচার হয়ে গিয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ টোল প্লাজ়ায় তরুণী চিকিৎসককে স্কুটার রাখতে দেখেই তাঁকে ধর্ষণের ছক কষেছিল চার অভিযুক্ত। তরুণী ট্যাক্সিতে চলে যেতেই স্কুটারের চাকা ফাঁসিয়ে দেয় নবীন। তরুণী ফিরে আসার পরে তারা তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করে বলে অভিযোগ। পরদিন সকালে শামশাবাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নীচে ওই চিকিৎসকের পোড়া দেহাংশ মেলে।

অভিযুক্তরা সকলে ধরা পড়ার পর ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় সাদনগরে ৪৪ নন্বর জাতীয় স়ড়কের আন্ডার পাসের কাছে। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড় করতেই শুক্রবার ভোররাতে অভিযুক্তদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের গুলিতে ৪ জনই খতম হয়ে যায়। পুলিশ দাবি করে, সাদনগর নিয়ে যাওয়ার সময় সুযোগ বুঝে পালানোর চেষ্টা করে ওই চার জন। বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় ওই চার অভিযুক্তের। এই ঘটনাটি নিয়েই ছবি তৈরি করেছেন রামগোপাল ভার্মা। ছবির মুক্তিপ্রাপ্ত ট্রেলারে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার স্কেচ পাওয়া যাচ্ছে।