মেদিনীনগর: চোর সন্দেহে পড়েছিলেন ধরা। এরপর পুলিশ হেফাজত। তারপর টানা জেরা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন। কিন্তু কিছুতেই নাকি অপরাধ স্বীকার করছিলেন না ধৃত। অবশেষে পুলিশ অফিসার নাকি ব্যবহার করেন এক 'মোক্ষম অস্ত্র'! অভিযুক্ত রজনীকান্ত দুবের যৌনাঙ্গে দেন ইলেকট্রিক শক। এরপর রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। অভিযোগও জানান।


ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে 'পুলিশের নৃশংস অত্যাচারের' প্রতিবাদে বিক্ষোভ। দফায় দফায় হয় পথ অবরোধ। চাইনপুর পুলিশ স্টেশনে অভিযুক্তের উপর এমন সাঙ্ঘাতিক অত্যাচারের অভিযোগটির সত্যতা যাচাই করার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

পুলিশ সূত্রে খবর, মেদিনীনগরের এসডিপিও সন্দীপ কুমার গুপ্তাকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে চাইনপুর থানার স্টেশন হাউস অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সোনপুরা গ্রামের বাসিন্দা ৩৫ বছরের রজনীকান্তকে চুরির অভিযোগে গত ৮ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, থানায় তাঁকে এসএইচও প্রবল মারধর তো করেনই, শেষ পর্যন্ত যৌনাঙ্গে ইলেকট্রেক শক পর্যন্ত দেন। এরপর চূড়ান্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই অভিযুক্ত। তাঁকে পরীক্ষা করেন চিকিৎসক আরকে রঞ্জন। তিনিও জানান, অভিযুক্তের শরীরের গোপনাঙ্গে ক্ষতের সন্ধান পাওয়া গেছে।