আলিগড়: দিন কয়েক পরেই দীপাবলি (Diwali 2025)। আলোর উৎসব। এই উৎসবের সময় চারিদিক আলোকসজ্জায় সেজে উঠে। তবে আতসবাজি ছাড়াও কিন্তু কালীপুজো বা দীপবলি যেন অসম্পূর্ণ। কালীপুজো উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশে দেদার বিকোচ্ছে বিভিন্ন রকমের বাজি। তবে এই বছর দুই বিশেষ ধরনের বাজির চাহিদা তুঙ্গে। কী সেই বাজিগুলি?
আলিগড় হল ভারতীয় ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংহের (Rinku Singh) জন্মস্থান। এখানেই তাঁর বেড়ে উঠা। তাঁর নামের এক বাজি এ বছর আলিগড়ের মার্কেটে ক্রেতাদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। পাশাপাশি সমানতালে বিকোচ্ছে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) আতসবাজি। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে নাম দিয়ে ভারত প্রতিআক্রমণ চালায়, একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে, সেই অপারেশন সিঁদুরের নামেই এবার আতসবাজি বিকোচ্ছে আলিগড়ের নুমাই মাঠে।
এক স্থানীয় বাজি বিক্রেতা ANI-কে জানান অপারেশন সিঁদুরের নামের আতসবাজি একসঙ্গে ২৪০টি শটের। পাশাপাশি এগুলি আকাশে বেশ অনেকটা উপরে উঠে লাল, সবুজের মতো ভিন্ন রঙ ছড়াবে। অপরদিকে রিঙ্কু সিংহের নামাঙ্কিত বাজি অনেক উঁচু পর্যন্ত উঠে ফাটবে। রিঙ্কু ছক্কা হাঁকানোর জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত। নাগাড়ে পাঁচ ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ম্যাচ জিতিয়েই তিনি শিরোনামে উঠে আসেন। তাই তাঁর সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে, তাঁর ছক্কার মতো তাঁর নামাঙ্কিত বাজিও অনেক উঁচুতে উঠছে। আলিগড়ে দীপাবলির মার্কেটে কিন্তু এই দুই বাজিরই চাহিদা তুঙ্গে।
বাজি বিক্রি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ
আপাতত বাজি বাজারে বাজি বিক্রিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, নির্দেশ হাইকোর্টের। আতসবাজি মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। 'বাজি বাজার শুরু হয়ে গিয়েছে, তাদের জন্যে কি গাইডলাইন?', কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাজ্যকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের।
'মুখ্যসচিবের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কী করেছে রাজ্য, রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। বায়ু দূষণ রুখতে কী পদক্ষেপ, জানাতে হবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে। বাজি পোড়ানোর আগেও পর্ষদের ভূমিকা থাকে। বাজি পরীক্ষা থেকে জানতে পারে দূষণের পরিমাণ কতটা' পর্যবেক্ষণ আদালতের, রেগুলার বেঞ্চে মামলার পরবর্তী শুনানি।
অপরদিকে,ধর্মতলায় শুরু হল বাজি বাজার। বাজি বাজার পরিদর্শন পুলিশ কমিশনারের। কলকাতা পুলিশের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাজারে ১৪০৩ টি বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থার বাজি বিক্রি করা যাবে।সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা, তা ঘুরে দেখলেন সিপি। নিয়ম মেনে ২ টি দোকানের মাঝে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখেন সিপি।