গ্রেটার নয়ডা: শিশুর ভুল চোখে অস্ত্রোপচারের অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য পরিষ্বার ফের চূড়ান্ত গাফিলতির নজির তৈরি হল। উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার হাসপাতাল থেকে এই ঘটনা সামনে এল। শিশুটির বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। তার পরিবর্তে ডান চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাটি সামনে আসতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি হাসপাতালটিতে তালা ঝোলানোর দাবি তুলেছেন শিশুটির বাবা। (Viral News)
গ্রেটার নয়ডার সেক্টর গামা ১-এর আনন্দ স্পেকট্রাম হাসপাতাল থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। শিশুটির বাবা নিতিন ভাটি জানিয়েছেন, বাঁ চোখ দিয়ে লাগাতার জল পড়ছিল ছেলের। সেই মতো ওই হাসপাতালে দেখাতে নিয়ে যান। চিকিৎসক প্রথমে ছেলের চোখ পরীক্ষা করে দেখেন। জানান, প্লাস্টিকের মতো কোনও বস্তু ঢুকে রয়েছে চোখে। তাই লাগাতার জল পড়ছে। চোখ থেকে ওই টুকরো বের করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। (Greater Noida News)
সেই মতো শিশুটির চোখে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অস্ত্রোপচারের খরচ ধার্য হয় ৪৫ হাজার টাকা। অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি যখন বাড়ি ফেরে, তার মা প্রথম ভুল ধরতে পারেন। ভুল চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে বুঝতে পারেন তিনি। সেই মতো ওই চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান পরিবারের লোকজন। কিন্তু ভুল স্বীকার করার পরিবর্তে ওই চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মীরা শিশুটির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।
এর পর হাসপাতালেই বিষয়টি নিয়ে সরব হন শিশুটির পরিবারের লোকজন। গৌতম বুদ্ধ নগরের চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কাছে সেই মর্মে অভিযোগো দায়ের করেন। শিশুটির বাবা অভিযুক্ত চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। ওই হাসপাতালেও তালা ঝোলানো হোক বলে দাবি তুলেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
এমন ঘটনা যদিও এই প্রথন ঘটল না। এ বছর মে মাসেই কেরলে সরকারি হাসপাতালে চার বছরের শিশুর ভুল চিকিৎসা হয়। যে হাতের ছয়টি আঙুলের মধ্যে একটি বাদ দেওয়ার কথা ছিল, অস্ত্রোপচারের পর দেখা যায় অন্য হাতের আঙুলও নয়, চিকিৎসক মেয়েটির জিভ কেটে বাদ দিয়েছেন। ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। কেরল সরকার হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরকে সাসপেন্ড করে। তাঁর বিরুদ্ধএ তদন্তের নির্দেশ দেয়।