আমদাবাদ: ফাঁদে পড়ে লাখ টাকার ওপর খোওয়ালেন গুজরাতের খেড়া জেলার ৪৯ বছর বয়সী এক চিকিৎসক। নাদিয়াদ সিভিল হাসপাতালের ওই চিকিৎসক পুলিশে অভিযোগ করেছেন। ৩ মহিলা ও ৩ পুরুষ আগে থেকে ছক কষে তাঁকে ফাঁদে ফেলেছিল বলে তাঁর অভিযোগ।


অভিযোগকারীর বক্তব্য, কয়েক বছর ধরে প্রফুল্ল দর্জি নামে এক মহিলার স্বামীর চিকিৎসা করছেন তিনি। গত মাসে প্রফুল্ল তাঁকে ফোন করে তার এক আত্মীয়ের চিকিৎসা করতে যেতে বলে। এরপর সে এসে গাড়ি করে তাঁকে আনন্দ এলাকার একটি বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর এক অচেনা মহিলা ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজের জামাকাপড় খুলে ফেলে। একটু পরেই হাজির হয় আরও ৩ জন, বলে, তারা নাকি পুলিশ। তাঁকেও জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করে তারা, জোর করে আপত্তিকর ছবি তোলে, তারপর ওই ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চায়। তিনি ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি দিতে পারেননি।

তাদের দাবিদাওয়া অবশ্য এতেই থামেনি। গত মাসেও ফোন করে টাকা চাইতে থাকলে তিনি পেটল্যান্ড টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ৬ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হল প্রফুল্ল দর্জি, আখরোজবানু সৈয়দ, শকু চাভদা, ঈশ্বর প্যাটেল, ধীরেন্দ্র সোলাঙ্কি ও গিরীশ সোলাঙ্কি। ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ। যে ফোনে ওই চিকিৎসকের আপত্তিকর ছবি তোলা হয়, সেগুলিও উদ্ধারের চেষ্টা করছে তারা।