বেঙ্গালুরু: কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিযুক্ত এক সরকারি চিকিৎসক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের মহীশূরে। চিকিৎসকের সহকর্মীদের অভিযোগ, অত্যাধিক কাজের চাপ সহ্য করতে না পারায় জন্যই এভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল মাত্র ৪৩ বছর বয়সি ওই চিকিৎসককে। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন, খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,আলানাহাল্লি তালুকের হেলথ অফিসার ছিলেন ডঃ এস আর নাগেন্দ্র। ডক্টরস কোয়ার্টারে তিনি একলাই থাকতেন। তাঁর পরিবার মহীশূর জেলাতেই অন্য জায়গায় বসবাস করতেন। কিন্তু পরিবারের বাকি সদস্যদের মধ্যে যাতে করোনা না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্যই কোয়ার্টারে একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডঃ নাগেন্দ্র। সেখানেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ডাক্তারের সহকর্মীদের অভিযোগ তাঁর উপর অত্যধিক কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই চাপ সহ্য করতে না পারার জন্যই এভাবে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পথ বেছে নিতে হল চিকিৎসককে।
বিষয়টি জানার পর রাজ্যের চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষামন্ত্রী ডঃ কে সুধাকর ট্যুইট করে রাজ্যের ডাক্তারদের উদ্দেশে ট্যুইট করে পরামর্শ দেন, কেউ যদি কোভিডের কারণে অতিরিক্তি কাজের চাপের জন্য অসুবিধার মধ্যে থাকেন তবে অবিলম্বে সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করুন। তিনি বলেছেন, নিজে ডাক্তার হয়ে তিনি চিকিত্সা ব্য়বস্থার সঙ্গে যুক্ত লোকজন যে কী বিরাট চাপের মধ্যে কাজ করেন, তা বোঝেন। এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ঘটনার বিস্তারিত খোঁজখবর করছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু। তিনি ট্যুইট করেছেন, তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে ছাড় পাবেন না। তবে মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।