নয়াদিল্লি: মায়ের মৃত্যু সত্ত্বেও করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তদের চিকিত্সা, সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়ে দায়িত্ব, কর্তব্য পালনের দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন ওড়িষার সম্বলপুরের এক ডাক্তার। গত ১৭ মার্চ মারা যান তাঁর ৮০ বছরের মা। কিন্তু তারপরও কর্মস্থলে ছুটে যান, করেনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যান ডঃ অশোক দাস নামে ওই চিকিত্সক। তিনি সম্বলপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার। জেলার কোভিড-১৯ মোকাবিলা সংক্রান্ত নোডাল অফিসারও।
মায়ের মৃত্যুতেও বিচলিত না হয়ে তিনি জেলায় একাধিক বৈঠকে যান, শ্রমিক, কৃষকদের মধ্যে নোভেল করেনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর আগাম প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রচার করেন, জেলা সদর হাসপাতালেও যান। বিকালে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজনদের উপস্থিতিতে মায়ের মুখাগ্নি, অন্ত্যোষ্ঠি সম্পন্ন করেন। ব্যক্তিগত ছুটি নেওয়ার চেয়ে মানুষের সেবা বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ক্ষতিটা নিজের হলেও গোটা সমাজের প্রতি আমার দায়িত্ব, কর্তব্য রয়েছে, বলেন তিনি।
রাজ্যের এক আমলাও সম্প্রতি স্বজনবিয়োগের যন্ত্রণা তুচ্ছ করে কর্মক্ষেত্রে হাজির হয়ে প্রশংসা পান দায়িত্ব পালনে দায়বদ্ধতার নজির দেখিয়ে। গত ১৬ মার্চ ১৯৯৩ ব্যাচের ওড়িষা ক্যাডারের আইএএস অফিসার নিকুঞ্জ ঢল বাবার শেষকৃত্যের ক্রিয়াকর্ম সম্পূর্ণ করতে একদিন ছুটি নেন । পরদিনই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতা ছড়ানোর কাজে ফেরেন। দিনভর একাধিক বৈঠকে হাজির হন। এজন্য তাঁকে বাহবা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি আমলাদের সংগঠন। নাগরিকদের এনগেজমেন্টের মঞ্চ মাই গভর্নমেন্ট ইন্ডিয়া-তে তাঁর কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করা হয়েছে।
ওড়িষায় এপর্যন্ত নোভেল করোনাভাইরাসের একটি সংক্রমণের ঘটনা পজিটিভ বেরিয়েছে।