নয়াদিল্লি,২৬ সেপ্টেম্বর: দেশে একাধিক করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে কোভিশিল্ডের ট্রায়াল চলেছে। দেশের প্রত্যেকের জন্য সেই টিকা কেনার মতো প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্রের কাছে আছে কি না, আজ সেই প্রশ্ন তুললেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা।





শনিবার তিনি ট্যুইট করেন, সাফ জানতে চাই, আগামী এক বছরে সরকার কি ৮০ হাজার কোটি টাকার ব্য়বস্থা করতে পারবে? কারণ প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য প্রতিষেধক কিনতে ও তা পৌঁছে দিতে এই পরিমাণ টাকাই লাগবে। এটাই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ,যা সামলাতে হবে।‘‘
পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, অর্থের সংস্থানের ভিত্তিতে পরিকল্পনা করতে হবে। দেশ ও বিদেশের করোনা প্রতিষেধক প্রস্তুতকারীদের আলোচনা চালিয়ে প্রয়োজনমাফিক প্রতিষেধক আনা এবং তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল রসদ হল অর্থ।
করোনা প্রতিষেধকে ডোজের সংখ্যার নিরিখে ভারতের সিরাম ইন্সস্টিটিউট বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থা। আমেরিকার বায়োটেক সংস্থা কোডাজেনিক্স জানিয়েছে, সিরাম ইন্সস্টিটিউট করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরি শুরু করেছে, সম্ভবত চলতি বছরের শেষে এই প্রতিষেধকের মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা যাবে ব্রিটেনে। এছাড়াও এই সংস্থা কোডাজেনিক্স সিডিএক্স ০০৫ নামের করোনা প্রতিষেধক তৈরি করবে যেটা ইনজেকশনের বদলের নাকের মাধ্যমে দেওয়া যাবে।
ভারতে আরও তিনটি প্রতিষেধক মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের স্তরে পৌঁছে গিয়েছে বলেই কেন্দ্রের বায়োটেকনোলজি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। গোটা বিশ্বে কমপক্ষে ১৫০ টি সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে। ৩৮টি প্রতিষেধক মানবদেহে প্রয়োগের স্তরে রয়েছে। তার মধ্যে মডার্না, ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধক শেষ ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে।