নয়া দিল্লি: কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতের উড়ান পরিষেবায় রেকর্ড। সম্প্রতি ডিরেক্টর জেনারেল সিভিল অ্যাভিয়েশন সে তথ্য প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা গিয়েছে গত বছরের তুলনায় এ বছর সেপ্টেম্বরে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যাত্রী সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, "২০২০ এর সেপ্টেম্বরে ৩.৯ মিলিয়ন প্যাসেঞ্জার যাত্রা করেছিল। এবছর সেই সংখ্যা ৭.১ মিলিয়ন। অর্থাৎ প্রায় ৭৯.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে যাত্রী সংখ্যায়।"                                      


ডিজিসিএ-এর তথ্য অনুসারে, "২০২১-এ আন্ত:দেশীয় বিমানে যাত্রী সংখ্যা ৭১ লক্ষ, গত বছর সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ৩৯ লক্ষ। অগাস্টে  আন্ত:দেশীয় বিমানে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল অনেকটাই। প্রায় ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে অগাস্টে। ২০২০ এর জুলাই থেকে ২০২১ এর জুলাইতে প্রায় ৩৩.৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যাত্রী সংখ্যা।"             


ভারতে উৎসবের মাসগুলিতে কোভিড সংক্রমণের হ্রাস এবং টিকা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে বিমান যাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। এয়ারলাইন্সগুলি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি যাত্রী বহন করছে। ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ছিল যাত্রী সংখ্যা। মার্চে ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ ধাক্কা দিতেই কমতে শুরু করে তা।                  


ডিজিজিএ -র মতে, সেপ্টেম্বরে লোড ফ্যাক্টর (ফ্লাইটে প্রতি যাত্রী বহন করে) ছিল স্পাইসজেটের জন্য সর্বোচ্চ ৭৮.৮ শতাংশ। গো এয়ারের লোড ফ্যাক্টর দাঁড়িয়েছে ৭৪.১ শতাংশ, ইন্ডিগো (৭৩.৬ শতাংশ), ভিস্তারা (৭২.৪ শতাংশ), এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া (৬৮ শতাংশ), এয়ার ইন্ডিয়া ৬৩.৭ শতাংশ। সম্প্রতি সরকার কোভিড মহামারীর কারণে এক বছরের দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পরে বিমান সংস্থাগুলিকে ১০০ শতাংশ ওড়ার ক্ষমতা দিয়েছে। ভ্রমণ বিশ্লেষকরা আশা করছেন টিকা দেওয়ার কারণে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। যত কোভিড মামলার সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং সরকার এয়ারলাইন্সের প্রস্তাবিত ক্ষমতার উপর সীমাবদ্ধতা শিথিল করবে।