রাজীব চৌধুরী, ডোমকল(মুর্শিদাবাদ) : উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর এখনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত। নম্বর কম আসায় এবার ডোমকলের রাইপুর হাইস্কুলে তাণ্ডব চালাল একদল ছাত্র। টেবিল, বেঞ্চও ভাঙা হয়। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। স্কুলের গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখায় উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্কুলের ভেতর আটকে রাখা হয়।


এদিন স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট বিতরণের দিন ছিল। সেই কাজেই কয়েকজন শিক্ষক স্কুলে আসেন। শিক্ষকরা স্কুলে আসার পরেই কয়েকজন পড়ুয়া বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। প্রথমে স্কুলগেটে তালা মেরে পরে অফিসঘরে তালা ঝোলানো হয়। পরে শুরু হয় বিক্ষোভ। স্কুল ভবনের দোতলা থেকে বেঞ্চ নিচে ছুঁড়ে ফেলা হয়। পড়ুয়াদের দাবি, তারা অত্যন্ত কম নম্বর পেয়েছে, যা তাদের প্রাপ্য নয়।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডোমকল থানার পুলিশ।  পড়ুয়াদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে স্কুলের এক শিক্ষাকর্মী জানান, নম্বর পছন্দ না হলে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে পড়ুয়াদের। প্রধান শিক্ষক স্কুলে এলে পড়ুয়াদের সাথে আলোচনা হবে।


এদিকে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের মুখে আজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের অভিযোগ জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে অভিযোগপত্র নেওয়ার কাজ চলবে ৭ দিন। প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলায়, ফলপ্রকাশের পর উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যজুড়ে। রবিবার রাস্তাঘাটে বিক্ষোভ বন্ধ হলেও, অসন্তোষ এতটুকু কমেনি। শনিবারই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। তারপর সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সাত দিনের মধ্যে ফলাফল সংক্রান্ত অভিযোগ এবং আবেদন নথি সহকারে সংসদ অফিসে জানাতে হবে প্রধান শিক্ষকদের।


উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ৪০টির বেশি স্কুলের তরফে অভিযোগ এসেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। সেইমতো রবিবার ছুটির দিনেও সংসদে হাজির হয়েছিলেন সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি বলেন, সবাই আসছে, জমা নিচ্ছি, স্কুলের মাধ্যমে আসতে হবে।