নয়াদিল্লি: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান ছেড়ে চম্পট দিল অন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। বহু বছর ধরে সে পাকিস্তানের করাচি শহরে বাস ছিল দাউদ ও তার পরিবারের। এই মুহূর্তে ভারতের প্রত্যাঘাতে কাঁপছে পাকিস্তান। সূত্র বলছে, অপারেশন সিঁদুরের ঠেলাতেই পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়েছে দাউদ ইব্রাহিম।
সূত্রের দাবি, ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের জেরে অন্য দেশে গিয়ে লুকনোর চেষ্টা করছে দাউদ। ভারতের প্রত্যাঘাতে এতদিনের নিরাপদ আশ্রয় ছেড়েছে দাউদ। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানই ছিল দাউদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। লুকিয়ে পড়েছে দাউদের ছায়া সঙ্গী ছোটা শাকিলও। এর আগে ২০২৩ এ শিরোনামে আসে দাউদের নাম। গুরুতর অসুস্থ ছিল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বই হামলার মূল চক্রীকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে বলে পাক সংবাদ মাধ্যমের একাংশ দাবি করে। তবে সরকারিভাবে এই খবর স্বীকার করা হয়নি তখনও । করাচির হাসপাতালে ভর্তি দাউদ ইব্রাহিমের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে দেখা যায় ভাইরাল ভিডিওয়। সেই সময় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘচে। পাকিস্তানজুড়ে তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। লাহৌর, করাচি, ইসলামাবাদের মতো শহরে কড়া সতর্কতা জারি হয়। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ইন্টরনেটের সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। কাজ করছিল না এক্স হ্যান্ডল, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামও। দাউদের খবর লুকোতেই সার্ভার ডাউন, অনেকেই বলেন একথা। পাকিস্তানের করাচি এতটাই সেফ শেল্টার ছিল দাউদের।
১৯৫৫-তে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার মামকা গ্রামে জন্ম হয়েছিল দাউদের। বাবা ইব্রাহিম কাস্কর ছিলেন পুলিশের হেড কনস্টেবল। কিন্তু ছেলে হাঁটেন উল্টোপথে। অপরাধ জগতে হাত পাকিয়ে একসময় পুলিশের ছেলেই হয়ে ওঠেন ‘ডন’। ১২ মার্চ, ১৯৯৩ মুম্বইয়ে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দেয় দাউদ । তারপর থেকে কার্যত ভারতের ধরাছোঁয়ার বাইরে সে। ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, তাঁর স্থায়ী ঠিকানা কোথায়? পাকিস্তান না অন্য কোথাও? এই নিয়ে নানা জল্পনার পর শেষমেশ, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০২০ সালে ইসলামাবাদ স্বীকার করে নেয়, দাউদ করাচিতে থাকেন। সেই পাকিস্তান থেকেই এবার নাকি পালাল দাউদ। এবার গন্তব্য কোথায় ? কয়েক দশক হয়ে গেল তার কোনও ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। বহু বছর আগে শারজায় স্টেডিয়ামে বসে ক্রিকেট খেলা দেখতে দেখা গেছিল তাকে।