ওয়াশিংটন: এইচ১-বি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করল মার্কিন প্রশাসন। একই সংস্থায়, একই কাজে যোগ দিতে চাইলে আমেরিকায় ফিরতে পারবেন এইচ১-বি ভিসা থাকা ব্যক্তিরা। স্ত্রী, সন্তান-সহ যেতে পারবেন আমেরিকা। জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর।
করোনা সংক্রমণের জেরে বিশ্ব অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। ব্যতিক্রম নয় আমেরিকাও। করোনার কারণে কর্মসঙ্কট কাটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইচ১-বি ভিসাতেও। লক্ষ লক্ষ বিদেশির আমেরিকায় থাকা ও কাজ করার মেয়াদ ফুরিয়েছিল জুনে। আমেরিকার বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ায়, তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিরে যেতে হতে পারে ভিনদেশিদের, তেমন সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছিল। সেই ভিসার ক্ষেত্রে সুর নরম করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিসা নীতির কড়াকড়ির জেরে বিপাকে পড়েছিলেন আমেরিকায় কাজ করতে যাওয়া কয়েক লক্ষ ভারতীয়। ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া ঘোষণায় তাঁরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।
সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ দফতর জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুরনো সংস্থায়, একই কাজে আমেরিকায় ফিরতে চেয়ে যাঁরা আমেরিকায় যাওয়ার আবেদন করেছেন, তাঁদের স্বাগত।
শুধু তাই নয়, টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট, উচ্চপদে থাকা ম্যানেজার, অন্য কাজের সঙ্গে জ়ড়িতরা সকলে আমেরিকায় যেতে পারবেন বলেও মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে। ছাড় দেওয়া হয়েছে করোনায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের, গবেষকদের আমেরিকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে।
দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণ করতে এইচ১-বি ভিসা দিয়ে অন্য দেশের নাগরিকদের নিয়ে যাওয়া আমেরিকায়। একাংশের মতে লক্ষ লক্ষ দক্ষ কর্মীর আমেরিকায় থাকা ও কাজের মেয়াদ এক লপ্তে ফুরিয়ে গেলে তা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ক্ষেত্রে ভাল প্রভাব ফেলবে না। আগামী নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। একে করোনার জেরে আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খাচ্ছে। সেইসঙ্গে কাজের পরিবেশ নষ্ট হলে, বা দেশে দক্ষ কর্মীর অভাব দেখা দিলে, সার্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। সম্ভবত সেটা আঁচ করেই এইচ১-বি ভিসার নিয়ম খানিকটা হলেও শিথিল করল মার্কিন প্রশাসন।